তায়াম্মুম নষ্ট হয় যেসব কারণে

নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত এবং এ জাতীয় ইবাদতগুলোর জন্য পবিত্রতা জরুরি। স্বাভাবিকভাবে অজু মাধ্যমেই মানুষ পবিত্রতা অর্জন করে। তবে কেউ অসুস্থ হলে বা বিশেষ কোনও পরিস্থিতির কারণে পানি না পেলে তার জন্য অজু ছাড়াও তায়াম্মুমের বিধান রয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাকো কিংবা সফরে থাকো অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে, কিংবা নারীগমন করে থাকো, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তির সম্ভাবনা না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৪৩)
তায়াম্মুমের সম্পর্কে হাদিস শরিফে এসেছে, ‘আগের নবীদের উম্মত থেকে এই উম্মতকে তিন বিষয়ে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাতার ফেরেশতাদের কাতারের মতো বানানো হয়েছে, সারা ভূখণ্ডকে আমাদের জন্য মসজিদ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং পানি না পাওয়া অবস্থায় মাটিকে পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম বানানো হয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস : ১/২০৯)
তায়াম্মুম যেসব কারণে নষ্ট হয়
১. যেসব কারণে অজু নষ্ট হয় তায়াম্মুমও সেসব কারণে নষ্ট হয়।
২. যেসব কারণে গোসল ফরজ হয় ওইসব কারণে তায়াম্মুম নষ্ট হয়। যেমন, স্বপ্নদোষ বা স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি।
৩. যেসব কারণে তায়াম্মু করা হয়েছিল সেই কারণগুলো বাতিল হয়ে গেলে তায়াম্মুম ভেঙে যায়।
৪. পানি পাওয়ার পর তায়াম্মুম ভেঙে যায়।
এনটি