করোনার টিকায় ভয় পেয়েছিলেন তামিম

বেশ ঘটা করে টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। বৃহস্পতিবার টিকা নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড সফরের দলে থাকা ৬ জন ক্রিকেটার। যেখানে ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টিকা নেওয়ার পর উচ্ছ্বসিত তামিম জানান, টিকা নেওয়ার আগে কিছুটা ভয় কাজ করছিল তার মধ্যে।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নেওয়ার পর তামিম বলেন, ‘ভয় অবশ্যই ছিল, আমি অস্বীকার করবো না। আমার মনে হয় এটা সবার মধ্যেই হয়তো ছিল। যখন প্রথম টিকা নেওয়ার কথা চলছিল, তখন আমিও নিশ্চিত ছিলাম না নিবো নাকি নিবো না। জিনিসটা নিয়ে যদি জানা যায় অথবা জিনিসটা নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা আপনাকে বোঝাবে তখন আপনি বুঝতে পারবেন। আমি বলব আমরা ভাগ্যবান যে জিনিসটা পাচ্ছি।’
তামিম আরও যোগ করেন, ‘এটা দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। শুধু আমার জন্য নয়, যারা আমার বন্ধু আছে, পরিবারের সদস্য যারা নিজে থেকে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দিয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা অনেক সুন্দর ছিল।’
এদিন নিউজিল্যান্ড সফরের দলে থাকা ৬ জন ক্রিকেটার টিকা নিয়েছেন। বাকিরা নেবেন আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি। তবে বাংলাদেশ দলের বিদেশি কোচিং স্টাফের সবাই বৃহস্পতিবার টিকা নিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস ও মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। ছিলেন টিম বয়দের অনেকেই।
১৮ ফেব্রুয়ারি শুরুতে টিকা নেন অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার। এরপর টিকা গ্রহণ করেন তামিম। টিকা নেওয়ার পর গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে পুরো জিনিসটা বাংলাদেশ সরকার এত সুন্দরভাবে করছে প্রশংসা করার মতো। আসলে আমরা বিভিন্ন সময় নেগেটিভ পয়েন্টগুলো এমন ভাবে তুলে ধরি, আমার কাছে মনে হয় এ জিনিসটা ইতিবাচকভাবে আমাদের সবার তুলে ধরা উচিত যে এত সুন্দর ভাবে জিনিসটা হচ্ছে।’
তামিম আরও জানান, শুধু জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্যই নয়, প্রক্রিয়াটা সহজ সবার জন্যই। বললেন, ‘আমরা জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা আজ এসেছি বলে খুব ভালোভাবে হয়ে গেছে, এমন না। আমার পরিবারের মানুষজন এর আগে নিয়ে গেছে এত নির্বিঘ্নেই। আর এই জিনিসটা এখন তো প্রয়োজনীয় হয়ে গেছে নিজের শরীরের জন্য। এটা এতো প্রয়োজনীয় একটা জিনিস, যারা এর সাথে জড়িত আছে আমার পক্ষ থেকে আমি তাদেরকে সম্মান জানাই।’
টিআইএস/এটি/এনইউ