মোহনবাগানের আবেদন, এখনও ভাবছে কিংস

এশিয়ান ফুটবলে ক্লাব পর্যায়ে দ্বিতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা এএফসি কাপ। করোনা মহামারীর জন্য গত বছর এএফসি কাপ বাতিল হয়েছিল। চলতি বছর এএফসি কাপের চূড়ান্ত পর্বের প্রত্যেক গ্রুপের খেলাগুলো একটি সেন্ট্রাল ভেন্যুতে হবে।
বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সরাসরি চূড়ান্ত পর্বে খেলছে। ডি গ্রুপে কিংসের প্রতিপক্ষ ভারতের এটিকে মোহনবাগান, মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, গ্রুপের চতুর্থ দলটি আসবে প্লে অফ থেকে। ১৪-২০ মে একটি নির্দিষ্ট ভেন্যুতে হবে চূড়ান্ত পর্ব।
এশিয়ার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এএফসি কাপের স্বাগতিক হওয়ার জন্য আগ্রহী ক্লাবকে আবেদন করতে বলেছিল ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করেছে ভারতের ক্লাব মোহনবাগান। তারা কলকাতার বিশ্ব যুব ভারতী স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের ডি গ্রুপের ম্যাচ আয়োজন করতে চায়।
এএফসি কাপে স্বাগতিক হওয়ার জন্য আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কিংস স্বাগতিক হওয়ার চেষ্টা চালাবে বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি ইমরুল হাসান, ‘আমাদের গ্রুপে মোহনবাগানই একমাত্র স্বাগতিক হতে চেয়েছে। আবেদনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও বাফুফের সাথে আলোচনা করে আমরা সিলেট ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করছি।’
কিংসের প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম। হোটেল, ফ্লাইট সুবিধা, স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট সব কিছু বিবেচনা করে নিজেদের ভেন্যু কুমিল্লা না নিয়ে সিলেটে জেলা স্টেডিয়ামকে ঘিরে পরিকল্পনা কিংসের।
তারা এখনো এএফসি’র কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেনি। বিলম্বে আবেদন করলে এএফসি কতটুকু বিবেচনা করবে সেটাও দেখার বিষয়। ডি গ্রুপে চতুর্থ দলের জন্য মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও ভারতের ক্লাবের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্লাবও লড়ছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া ঢাকা আবাহনীকে চূড়ান্ত পর্বে খেলতে হলে প্লে অফের দুইটি বাধা পার হতে হবে। ঢাকা আবাহনীর প্রথম প্লে অফ ১৪ এপ্রিল।
এজেড/এমএইচ/এটি