৩ মন্ত্রবলে ইতিহাস গড়েছে পাকিস্তান, জানালেন রিজওয়ান

শ্রীলঙ্কার মাটিতে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে পাকিস্তান। রেকর্ডগড়া এই জয়ের পর থেকে বাবর আজমরা ভাসছেন প্রশংসার বন্যায়। এবার দলটির উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান জানালেন, ৩ মন্ত্রবলে এই ইতিহাস গড়া সম্ভব হয়েছে পাকিস্তানের পক্ষে।
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান রীতিমতো খাদের কিনারেই চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে বাবর আজমের ১১৯ রানের ইনিংসে ভর করে খাদের কিনার থেকে ফেরে দলটি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে দলটির সামনে ছিল ৩৪২ রানের লক্ষ্য। যে লক্ষ্য শ্রীলঙ্কার এই স্টেডিয়ামে কখনোই তাড়া করতে পারেনি কোনো দল। সেই ‘আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব’ লক্ষ্য ৪ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় পাকিস্তান। গড়ে ফেলে ইতিহাসও।
চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তানের এমন ইতিহাস গড়ার প্রধান কারিগর আব্দুল্লাহ শফিক। পাক এই ওপেনার খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ৪০৮ বলে ১৬০ রানের ইনিংস। সেই ইনিংসের সুবাদেই ম্যাচসেরা হন তিনি। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেও পেয়েছেন প্রশংসা।
তবে শেষ ইনিংসে পাকিস্তানের অন্য ব্যাটসম্যানরাও সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। ইমাম উল হক ৩৫ রানের ইনিংসে পাকিস্তানকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছেন। এরপর বাবর খেলেছেন ৫৫ রানের ইনিংস। শেষে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪০ রানের ইনিংস পাকদের নিয়ে যায় ইতিহাসের দুয়ারে।
এমন ইতিহাস এমনি এমনিই অর্জন করে ফেলেনি পাকিস্তান। রিজওয়ান টুইটারে জানালেন, এই জয়ের পেছনে ছিল তিনটি মন্ত্র। কী ছিল সেই মন্ত্র?
পাক ব্যাটসম্যান টুইট করে দেখান একটি ছবি। যেখানে লেখা, ‘এই টেস্ট জিততে কী চাই? বিশ্বাস, বর্তমানকে উপভোগ করা আর ইতিবাচক মনোভাব। আমরা ইতিহাস গড়ব ইনশাআল্লাহ।’ এই তিন মন্ত্রবলেই পাকিস্তান অসাধ্য সাধন করেছে বলে জানান পাক উইকেটরক্ষক।
— Muhammad Rizwan (@iMRizwanPak) July 20, 2022
গল টেস্টের তৃতীয় দিনে শ্রীলঙ্কা যখন ম্যাচটা পাকিস্তানের হাত থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই লেখা হয়েছিল এই তিন মন্ত্র, জানান রিজওয়ান। যারা এই মন্ত্র গেঁথে দিয়েছেন খেলোয়াড়দের মনে, সেই প্রধান কোচ সাকলাইন মুশতাক, ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ ইউসুফ আর সহকারী কোচ শহীদ আসলামকে ধন্যবাদও জানান পাক এই উইকেটরক্ষক।
তিনি লিখেন, ‘পাকিস্তানকে অভিনন্দন। এই দলে অনেক মহাতারকা আছে, আমাদের ভালোবাসার পাকিস্তানের জন্য তারা নিজের সর্বস্ব উজাড়ও করে দিচ্ছে। এই ছবিটা তৃতীয় দিনের। রান তাড়া করে ইতিহাস গড়তে এই ছিল আমাদের পরিকল্পনা। সাকলাইন মুশতাক, শহিদ আসলাম আর মোহাম্মদ ইউসুফ ভাইকে ও পুরো ম্যানেজমেন্টকে এই অনুপ্রেরণা আর বিশ্বাস দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’
এনইউ/এটি