তীরে এসে তরী ডুবল অস্ট্রেলিয়ার

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ২১৯/৭ (গাপটিল ৯৭, উইলিয়ামসন ৫৩, নিশাম ৪৫*; কেন রিচার্ডসন ৪৩-৩)
অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ২১৫/৮ (ওয়েড ২৪, ফিলিপ ৪৫, স্টয়নিস ৭৮, স্যামস ৪১; স্যান্টনার ৩১-৪, সোধি ৪১-২, নিশাম ১০-২)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ রানে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে নিউজিল্যান্ড ২-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: মার্টিন গাপটিল
২২০ রানের এভারেস্টসম লক্ষ্য। তবু সেটা ‘প্রায়’ তাড়া করেই বসেছিল নিউজিল্যান্ড সফররত অস্ট্রেলিয়া। তবে সে ‘প্রায় তাড়া করায়’ অবশ্য ফলটা পক্ষে আসেনি, অস্ট্রেলিয়া থেমেছে লক্ষ্য থেকে চার রান দূরে। ফলে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিও জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে কেন উইলিয়ামসনের দল।
অজিদের সামনে রানের এভারেস্ট দাঁড় করিয়ে দেয়ার কাজটা মূলত করেছিলেন মার্টিন গাপটিল। লকডাউন থেকে ক্রিকেটে ফিরে আগের ছয় ইনিংসে করেছিলেন ৮৫, গড় ১৪’র একটু বেশি। ক্যারিয়ার গড় ৩১ এর সামনে যা বেশ বেমানান। দীর্ঘ অফ ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান বৃহস্পতিবার ছন্দে ফেরেন, তাতেই পোড়ে অজি বোলারদের কপাল।
৫০ বলে ৬ চার আর ৮ ছক্কায় ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শতকটা পেতে পেতেও পাওয়া হয়নি তার। তবে তাতে কী! দলকে বড় সংগ্রহের পথ যে দেখানো হয়ে গেছে ততক্ষণে!
গাপটিল সঙ্গে পেয়েছেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন আর অলরাউন্ডার জিমি নিশামকে। উইলিয়ামসন করেছেন ৩৫ বলে ৫৩ আর নিশাম খেলেন ১৬ বলে ৪৫ রানের এক দারুণ কার্যকরি ক্যামিও। এ ত্রয়ীর কল্যাণে নিউজিল্যান্ডের স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে ৭ উইকেটে ২১৯ রান।
জবাবে অজিরা শুরু করেছিল বেশ। ম্যাথিউ ওয়েড ঝড়ো সূচনার পর থামেন দলীয় ৩৪ রানে। ওয়েড যেখানে শেষ করেছিলেন, তিনে নামা জন ফিলিপস শুরু করেছিলেন সেখান থেকেই। অপর প্রান্তে থাকা অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ কেবল সঙ্গ দেয়ার কাজটাই সারছিলেন তখন। তবে দলীয় ৭০ রানে তিনিও বিদায় নেন। এর কিছু পর সাজঘরমুখো হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।
ম্যাচে অজিদের প্রত্যাবর্তন ঘটে এরপরই। মার্কাস স্টয়নিসকে সঙ্গে নিয়ে কিছুদূর এগোনোর পরই থামেন ৩২ বলে ৪৫ করা ফিলিপস। এরপর আরও কিউই স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের আরও দুই ধাক্কায় সে ওভারেই অ্যাশটন অ্যাগার আর মিচেল মার্শকে হারায় সফরকারীরা।
১৩ ওভার শেষে ৬ উইকেট নেই, স্কোরবোর্ডে জমা পড়েছে মাত্র ১১৩ রান। অজিদের জন্য জয়টা তখন হয়ে দাঁড়িয়েছে দূর আকাশের তারা! সে প্রায় অসম্ভবটাকেই সম্ভব করতে বসেছিলেন স্টয়নিস আর ড্যানিয়েল স্যামস। দুজনের ৪০ বলে ৯২ রানের জুটিতে শেষ ওভারের আগে জয়টা খুব সম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল অজিদের।
কিন্তু তখনই ঘটল অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স। নিশামের করা শেষ ওভারের শুরুতে উইকেট হারান ১৫ বলে ৪১ করা স্যামস, জয় থেকে তখনো ১৫ রানের দূরত্বে অজিরা। পরের দুই বলে রান তুলতে ব্যর্থ হয় অজিরা। পরের বলে স্টয়নিসের ছক্কা। কিন্তু এরপরই থামেন অজি অলরাউন্ডার। শেষ বলে জাই রিচার্ডসনের মারা চারটা অজিদের আফসোসটাই বাড়িয়েছে কেবল। লক্ষ্য থেকে পাঁচ রানের দূরত্বে থামে ফিঞ্চের দল, সিরিজেও পিছিয়ে পড়ে ২-০ ব্যবধানে।
এনইউ/এটি