কলসিন্দুর কন্যারা পেলেন মসিকের সংবর্ধনা

জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে কলসিন্দুরের আট কৃতি নারী ফুটবলারকে এবার সংবর্ধনা দিয়েছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্কের বৈশাখী মঞ্চে প্রত্যেকের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু। পরে অতিথিদের চেয়ারে নারী ফুটবলারদের বসিয়ে তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান মেয়রসহ অতিথিরা।
বিকেল ৪ টায় সংবর্ধনাপ্রাপ্ত নারী ফুটবলারদের উত্তরীয় ও ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে ফুটবলার মারিয়া মান্দা অনুপস্থিত থাকায় তার পক্ষে কলসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মালা রানী সরকার ক্রেস্ট ও অন্যান্য উপহার গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা বিশ্ব অঙ্গণে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। আমাদের এনে দিয়েছে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার। আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। এ গর্বের অংশীদার ৮ নারী ফুটবলার আমাদের ময়মনসিংহের সন্তান। এ অনুভূতি অসাধারণ। আমরা ময়মনসিংহের এ নারী ফুবলারদের পাশে আছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতেই নারী ফুটবলে জাগরণ তৈরি হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার নামে ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করেছিলেন বলেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আমাদের বোনেরা উঠে এসে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। এজন্য প্রধানন্ত্রীর জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই এ সাফল্য সম্ভব হয়েছে।
সংবর্ধিত খেলোয়াড় সানজিদা আক্তার বলেন, ময়মনসিংহবাসী সবসময় আমাদের পাশে ছিল। তাদের ভালোবাসার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সকলের ভালোবাসায় যে সাফল্য আমরা অর্জন করেছি তা অব্যাহত থাকবে।
নগরীর সর্বস্তরের মানুষ এ সংবর্ধনায় শামিল হয়ে নারী ফুটবলারদের অর্জনের গৌরবে একাত্ম হয়। সংবর্ধনার শেষে নারী ফুটবলারদের সম্মানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মসিকের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ, কলসুন্দর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মালা রানী সরকারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উবায়দুল হক/এটি