পিছিয়ে পড়েও ফ্রান্সের লিড

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপ মিশনের শুরুটা ভালো হয়নি একদমই। কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নবম মিনিটেই গোল হজম করে কিলিয়ান এমবাপেরা। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সময় নেয়নি গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল করে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।
কাতারের আল জনৌব স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মাঠে নেমেছে ফ্রান্স। ইনজুরিতে জর্জরিত দলটি ম্যাচের শুরুর দিকে ছিল বেশ ব্যাকফুটে। প্রথম ২৫ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার গোলমুখে একটিও শট নিতে পারেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
অন্যদিকে এই ২৫ মিনিটে রীতিমতো উড়ছিল অস্ট্রেলিয়া। শক্তির বিচারে ফ্রান্সের চেয়ে বেশ পিছিয়ে থাকা দলটি ম্যাচের শুরু থেকেই চাপে রেখেছে ফ্রান্সের রক্ষণভাগকে। বল দখলের লড়াইয়েও প্রায় সমানে সমান টক্কর দিচ্ছিল ওশেনিয়ার দলটি। দারুণ শুরুর ফল পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি গ্রাহাম আরনল্ডের শিষ্যেদের।
নবম মিনিটে ক্রেইগ গুডউইনের গোলে কাঙ্ক্ষিত লিড পেয়ে যায় অস্ট্রেলিইয়া। ম্যাথিউ লেকির বাড়ানো নিচু ক্রসে পা ছুঁইয়ে স্কোরশিটে নাম লেখান গুডউইন।
১-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরও প্রথম কয়েক মিনিট খেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারছিল না ফ্রান্স। অবশেষে ডেডলক ভাঙেন অ্যাড্রিয়েন র্যাবিয়ট। ২৭ তম মিনিটে কর্ণার থেকে থিও হার্নান্দেজের বাড়ানো বল হেড করে জালে জড়ান র্যাবিয়ট। সমতায় ফেরার পর অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে ফ্রান্স। একের পর এক আক্রমণে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণের কঠিন পরীক্ষা নিতে শুরু করে জিরুড-র্যাবিয়টরা।
৩২ মিনিটে আবারও ম্যাচে র্যাবিয়টের ইমপ্যাক্ট। এবার অবশ্য গোল করেননি তিনি, সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন। তার অ্যাসিস্ট থেকে এবার জালে বল জড়িয়েছেন জিরুড। ২-১ গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করেছে ফ্রান্স।