কাতারে চ্যাম্পিয়নদের ম্যারাডোনাকে স্মরণ

কাতারের দোহায় একটি অস্থায়ী অফিস করেছে লাতিন আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল)। সেই অস্থায়ী অফিসে আজ বসেছিল তারার মেলা। ১৯৭৮ ও ৮৬ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে যারা বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তাদের অনেকেই এসেছিলেন। সবার গায়ে ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ ট্রফি চুমু খাওয়ার ছবি।
বিশ্ব ফুটবলের ঈশ্বর দিয়োগা ম্যারাডোনা দুই বছর আগে পৃথিবী ত্যাগ করেছিলেন। ফুটবল কিংবদন্তির প্রয়াণ দিবসে তাকে স্মরণ করেছে কনমেবল। দোহার কনমেবল অফিসটি আজ রুপ নিয়েছিল ম্যারাডোনাময়। ছোট্ট অফিসেও ম্যারাডোনার নানা ছবি, প্ল্যাকার্ড। পর্দায় ভাসছে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কিছু ফুটেজও।
আর্জেন্টিনা প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল ১৯৭৮ সালে। সেবারের বিশ্বকাপজয়ী মারিও ক্যাম্পোসরাও স্মরণ করেছেন তাদের অনুজকে। বুরুচুগারা কিছু সময়ের জন্য যেন ফিরে গিয়েছিলেন ’৮৬ সালের সেই বিশ্বকাপে। আলোচনার বাইরে থাকা একটি দল দিয়োগার নেতৃত্বে বিশ্বসেরা হওয়ার গল্প বললেন তারা।
ম্যারাডোনা মাঠে যেমন ছিলেন অপ্রতিরোধ্য, মাঠের বাইরেও। কখনো আর্জেন্টিনা ফুটবল এসোসিয়েশন আবার কখনো কনমেবলের সমালোচনায় মুখর ছিলেন। ম্যারাডোনার স্মরণে ছিলেন আর্জেন্টিনা ও কনমবেল কনফেডারেশনের সভাপতিও। তারা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেছেন, ‘ম্যারাডোনা লাতিন আমেরিকার ফুটবলের অন্যতম সৌন্দর্য ও গর্ব।’
কনমেবল আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও। চলমান ফিফা বিশ্বকাপের ব্যস্ততার মধ্যেও ম্যারাডোনার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করেন ইনফান্তিনো, ‘ম্যারাডোনা ফুটবলের অন্যতম অনুষঙ্গ। তিনি পৃথিবী ছাড়লেও তাঁর কীর্তি থাকবে আজীবন।’
ম্যারাডোনার মৃত্যুর দ্বিতীয় বার্ষিকীর পরের দিনই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে আর্জেন্টিনা। বিশেষ দিনটি বর্তমান প্রজন্মও ধারণ করছে, ‘ম্যারাডোনা শুধু আর্জেন্টিনা নয়, পুরো বিশ্বের ফুটবল দূত। আমাদের ক্যাম্পেও আজকের দিনটি বিশেষ’, বলেন লাউতেরো মার্টিনেজ।
আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি ম্যারাডোনার মৃত্যবার্ষিকী জয় দিয়ে উদযাপন করতে চান, ‘আগামীকাল আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এই ম্যাচ জিতলে ম্যারাডোনা খুশি হবেন। আমরা সেটিই করার চেষ্টা করব।'
১৯৭৮ সালের চ্যাম্পিয়ন দলের মধ্যে আজ ছিলেন মারিও কেম্পেস, ড্যানিয়েল বার্টোনি, রিকার্ডো ভিলা, ওসমার লাররোসা, আলবার্তো ট্যারান্টিনি, উবাল্ডো ফিল্লো। এছাড়া ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ জয়ের সতীর্দের মধ্যে ছিলেন নেরি পাম্পিডো, অস্কার রুগেরি, জর্জ বুরুচাগা, রিকার্ডো জিউস্টি, সার্জিও বাতিস্তা, ক্লদিও বোরগি, কার্লোস তাপিয়া।
এজেড/এনইআর