পেলে-ম্যারাডোনার আঙিনায় কিছুক্ষণ

পেলে নাকি ম্যারাডোনা, কে সেরা? ফুটবলের চিরকালীন বিতর্ক। দোহার কনমেবল ট্রি অফ ড্রিমসে পা রাখলে সেই বিতর্ক আরও ঘুরঘুর করবে মাথার মধ্যে। পেলে ও ম্যারাডোনা দুই জনের নানা কীর্তি জ্বলজ্বল করছে ছোট্ট এক ঘরে। সেখানে দুই প্রজন্মের দুই ফুটবলারের আলিঙ্গনের ছবিও রয়েছে।

দোহার অন্যতম ব্যস্ত জায়গা মুশেরীব। সেই ব্যস্ত অভিজাত এলাকায় আরো একটু আভিজাত্য যোগ করেছে ‘কনমেবল ট্রি অফ ড্রিমস’। কাতার বিশ্বকাপে লাতিন ফুটবলের ঐতিহ্য ও কিংবদন্তীদের তুলে ধরতেই কনমেবলের এই উদ্যোগ। ছোট্ট জায়গার মধ্যে তিন-চারটি কর্ণার। মাঝের মূল কর্ণারে শুধু দুই কিংবদন্তি পেলে ও ম্যারানোডা। যেটার নামকরণ হয়েছে , ‘হোম অফ আইকনস’।

পেলে ও ম্যারাডোনা বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে দাড়িয়ে রয়েছেন। দুই কিংবদন্তির দুই বোর্ডের সঙ্গে ছবি তুলতে দর্শানর্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। সেই ছবি পেরিয়ে ভেতরে চোখ রাখলেই দেখা মিলবে দুই কিংবদন্তির অসংখ্য কীর্তি। এক পাশে রয়েছে পেলের তিন বিশ্বকাপ ট্রফি। সেই পাশের আরেক অংশে ম্যারাডোনার ৮৬ বিশ্বকাপে ট্রফিতে চুমু দেয়ার ছবি। দুই কিংবদন্তিরই রয়েছে শতাব্দীর সেরার একটি করে স্বীকৃতি। পেলের রয়েছে শতাব্দীর সেরা ফুটবলার আর ম্যারাডোনার শতাব্দীর সেরা গোল। দু’টি স্বীকৃতিরই দিন-তারিখ উল্লেখ আছে হোম অফ আইকনসের দুই পাশে। দুই কিংবদন্তির নানা রেকর্ড, বিশেষ মুহূর্ত সব কিছুই রয়েছে ছোট্ট জায়গাতে। পেলে নাকি ম্যারাডোনা সেরা, চিরকালীন এই বিতর্কের বিষয়টি হঠাৎ উবে যাবে দুই কিংবদন্তীর আলিঙ্গনের এক ছবি দেখে।

দুই কিংবদন্তির মাঝে লাতিন ফুটবলের কিছু ঐতিহ্যের চিহ্নও রয়েছে। ২০৩০ সালে ফিফা বিশ্বকাপের ১০০ তম বছর। সেই বছর উরুগুয়েতে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। সেই বিশ্বকাপের কিছু স্মারক আছে মাঝে। বিশ্বকাপ ফুটবলে দক্ষিণ আমেরিকায় ট্রফি এসেছে নয় বার। সেই নয়টি মহেন্দ্রক্ষণও খোদিত রয়েছে এই কর্ণারে।
দুই কিংবদন্তির একটু সামনে রয়েছে আরেকটি কর্ণার। সেখানে একটি ফ্রেমে রয়েছেন রোনালদিনহো, সুয়ারেজসহ লাতিন আমেরিকার প্রতি দেশের একজন করে তারকা। লাতিন সুপারস্টারদের গোল ও নানা রেকর্ড উল্লেখ আছে সেখানে।

এজেড/এনইআর