প্যারা আর্চারি যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ

প্যারা আর্চারি বাংলাদেশের উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড আর্চারি ও এশিয়ান আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক টম ডিলান।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ প্যারা আর্চারি যুগে প্রবেশ করে।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্যারা আর্চারি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন দিগন্তের শুভ সূচনা হলো। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নিঃসন্দেহে এ ইভেন্ট আমাদের মেধাবী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ এনে দেবে। যারা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সমর্থ হবে বলে আমার বিশ্বাস।
মেধাবী ও প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়রা আমাদের গৌরব উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তারা বিভিন্ন সময়ে স্পেশাল অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছে। ২১৬টি স্বর্ণ, ১০৯টি রৌপ্য ও ৮৪টি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে দেশকে সম্মানিত করেছে তারা। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৮টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে সবকটিতেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিরল গৌরব অর্জন করেছে। মুজিববর্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু চারজাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২২ এ বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সর্বশেষ এসএ গেমসেও বাংলাদেশ অর্জন করে ১৯টি স্বর্ণপদকসহ ১৩৭টি পদক। আর্চারিতে দশটির সবকটিতেই গোল্ড মেডেল অর্জনের মাধ্যমে তারা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
এছাড়া সম্প্রতি ন্যাশনাল প্যারালিম্পিক কমিটি অব বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্ট্যারন্যাশনাল প্যারালিম্পিক কমিটি। যার ফলে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদরা এখন থেকে আন্তর্জাতিক সকল খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়দের জন্য একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ দশমিক ১৬ একর জমিতে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (ক্রীড়া) নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল অব. মাইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল।
এজেড/এএইচএস