আব্বু তো নেই, থাকলে বেশি খুশি হতো : জাকির
ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে নিজের সেরাটা দিয়ে যাচ্ছিলেন জাকির হাসান। পুরস্কারস্বরূপ গেল বছর ডাক পান ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে টেস্ট দলে। সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগিয়েছিলেন বেশ ভালোভাবেই। সোনায় মোড়ানো অভিষেক জাকিরের এটা বলা যেতেই পারে।
ভারতের বিপক্ষে অভিষেক সেই টেস্টে জাকির পেয়েছিলেন সেঞ্চুরির দেখা। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সেবার জাকির করেছিলেন ১৮৬ রান। সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএলে) ব্যাট হাতে দারুণ পারফর্ম করেছেন জাকির। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার আসরজুড়ে করেছিলেন ২৫১ রান।
সিলেটে জন্মগ্রহণ করা এই ক্রিকেটার এবার খেলবেন নিজ শহরের মাটিতে। যে কারণে এবারের ওয়ানডে সিরিজটি জাকিরের কাছে আরো স্পেশাল। নিজ শহর সিলেটের মানুষের সামনে রিজেকে আবারো প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। যদিও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র ২টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন জাকির।
সবশেষ এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঘরের মাটিতে প্রথম দুই ওয়ানডে সিরিজের জন্য ডাক পেয়েছেন জাকির। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জায়গায় দলে সুযোগ পেলেন। প্রথমবার জাতীয় দলের ওয়ানডে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়ে ঢাকা পোস্টকে জানালেন নিজের অনুভূতির কথা।
কেমন লাগছে, প্রথমবার ওয়ানডে দলে আপনার নাম?
জাকির: আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে। প্রথমে পরিবারকে জানাতে ফোন করেছিলাম। এখনো কথা হয়নি।
পরিবারের মধ্যে আপনার সাফল্যে খুশি হয় কে বেশি?
জাকির: সবাই (খুশি) হয়, স্পেশালি আমার আম্মু হয় আর কি। আর আব্বু তো নেই, আব্বু থাকলে সবথেকে বেশি খুশি হতো। আব্বু অনেক এক্সসাইটেড থাকত। আম্মু তো খুব একটা বুঝে না খেলা। এখন অবশ্য আগের থেকে একটু বুঝেন।
মা-বাবা ছাড়া আর কাকে পাশে পান?
জাকির: আম্মু তো আছেই, সেই সঙ্গে আমার বড় ভাইয়া আছে, তিনি দেশে থাকেন। বাকি দুই ভাই তো দেশের বাইরে আছে। আসলে সত্যি কথা বলতে সবাই খুশি হয়। কারণ সবাই টুকটাক ক্রিকেট খেলেছে বা বুঝে। ন্যাশনাল টিমের ফিলিংসটা তো অন্যরকম। আলহামদুলিল্লাহ।
ওয়ানডেতে একাদশে সুযোগ পেলে লক্ষ্য কি থাকবে, অভিষেক টেস্টের মতো সেঞ্চুরি?
জাকির: না ভাই (হাসি) এগুলো কিছু না আসলে। আমি আমার যে প্রসেসে চলছে যেভাবে ভালো খেলা যায় সেভাবেই চেষ্টা করব। নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার। এটাই আর কি বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
এসএইচ/এফআই