টানা দুই জয়ে শীর্ষ তিনে ইউনাইটেড

লড়াইটা হলো যেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বনাম এভারটন গোলরক্ষক। একের পর এক সেভ করলেন জর্ডান পিকফোর্ড। এর মাঝেই অবশ্য দুবার জালের দেখা পেল এরিক টেন হাগের দল। টানা দ্বিতীয় জয়ে উঠে গেল লিগ টেবিলের তিন নম্বরে।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-০ গোলে জেতে ইউনাইটেড। স্কট ম্যাকটমিনে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে ব্যবধান বাড়ান অঁতনি মার্শিয়াল। লিগে টানা তিন ম্যাচে জয়হীন থাকার পর টানা দ্বিতীয় জয় পেল ম্যানচেস্টারের দলটি।
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবলে এভারটনকে চেপে ধরে ইউনাইটেড। দ্বাদশ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত তারা। বক্সের বাইরে থেকে আন্তোনির জোরাল শট পোস্টে লাগে। ফিরতি বল ফাঁকা জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন অ্যারন ওয়ান-বিসাকা।
প্রথম আধা ঘণ্টায় পাঁচটি পরিষ্কার সুযোগ নষ্ট হওয়ার পর অবশেষে ৩৬তম মিনিটে গোলের দেখা পায় ইউনাইটেড। জেডন স্যানচোর পাসে ছয় গজ বক্সের কোণা থেকে প্রথম স্পর্শে ডান পায়ের জোয়াল শটে পিকফোর্ডকে পরাস্ত করেন স্কটিশ মিডফিল্ডার ম্যাকটমিনে।
প্রথমার্ধে পাঁচটি সেভ করা পিকফোর্ড ৬৬তম মিনিটে আবার স্বাগতিকদের হতাশ করেন। মার্সেল সাবিৎজারের ক্রসে বক্সে ফের্নান্দেসের হেডে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান ইংলিশ গোলরক্ষক।
সিমাস কোলেমানের ভুলে ৭১তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে এভারটন। আইরিশ ডিফেন্ডার বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হলে পেয়ে যান রাশফোর্ড। ইংলিশ ফরোয়ার্ডের পাস বক্সে পেয়ে নিচু শটে পিকফোর্ডকে ফাঁকি দেন মিনিট দশেক আগে বদলি নামা মার্শিয়াল। শেষ দিকে ফের্নান্দেসের বাঁ পায়ের শট পিকফোর্ড ঠেকিয়ে দিলে ব্যবধান আর বাড়েনি।
এই জয়ে শীর্ষ চারে নিজেদের অবস্থান সংহত করল ইউনাইটেড। ২৯ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে নেমে গেছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। ৩০ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে আছে এভারটন।
এইচজেএস