স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাংলাদেশ গেমস

আর মাত্র তিন দিন পর মাঠে গড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস। এক এপ্রিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মাল্টিস্পোর্টসের এই গেমসের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩১ ডিসিপ্লিনে প্রায় পাঁচ হাজার ৩০০ ক্রীড়াবিদ অংশ নেবেন। ১ হাজার ২৭১টি পদকের জন্য লড়বেন সেরা ক্রীড়াবিদরা।
৩১ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় গেমসের মশাল প্রজ্জ্বল করবেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। পরদিন ১ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মূলমঞ্চে মশাল প্রজ্জ্বলন করবেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা।
বৈশ্বিক মহামারির জন্য ক্রীড়াবিদ, কোচ, কর্মকর্তা এবং দর্শকদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য বিশেষ সেনিটাইজেশন এবং থার্মাল স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। আজ (রোববার) ডাচ-বাংলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
বিওএ মহাসচিব বলেন, ‘প্রত্যেকটি ভেন্যুতে ক্রীড়াবিদদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে। যেখানে মাত্র ৩ ঘণ্টায় রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তাছাড়া প্রত্যেকটি ভেন্যুতেই উপস্থিত থাকবেন মেডিকেল কমিটির অভিজ্ঞ সদস্যরা। এই কমিটি গঠন করা হয়েছে দেশের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে। আর দর্শকদের জন্য থার্মাল স্ক্যানার থাকবে।’
গেমসের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি গেমসের লক্ষ্য থাকে যাতে ভালোমানের ক্রীড়াবিদ বেরিয়ে আসে এবং ভবিষ্যতে বিদেশের মাটিতে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনে। আমাদের এই গেমসের লক্ষ্যও সেটাই। এছাড়া প্রত্যেক দুই বছর পর পর বাংলাদেশ গেমস এবং যুব গেমস অনুষ্ঠিত হবে।’ ১০ দিন ব্যাপী এই ক্রীড়া মহাযজ্ঞ শেষ হবে ১০ এপ্রিল।
বাংলাদেশ গেমস নিয়ে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিওএর সহ-সভাপতি ও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ মামুন, উপ-মহাসচিব ও স্টিয়ারিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান কোহিনুর, উপ-মহাসচিব ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু এবং মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটি কমিটির সদস্য সচিব ও বিওএর কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল।
এজেড/এমএইচ/এটি