সৌম্যর বিশ্বাস, শেষটা জয়ে রাঙাতে পারবে বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডে জয় সোনার হরিণ, সত্যটা মেনেই খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। তারপরও সমর্থকরা প্রত্যাশায় লাগাম টেনে ধরতে পারেন নি। আশায় ছিলেন লড়বে বাংলাদেশ। জিতেও যাবে অন্তত একটা ম্যাচ। কিন্তু ওয়ানডেতে হোয়াইট ওয়াশ। টি-টোয়েন্টিতে টানা দুই ম্যাচ হার। এখানেও চোখ রাঙাচ্ছে হোয়াইট ওয়াশ। তবে শেষটা জয়ে রাঙাতে চায় বাংলাদেশ দল।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় অকল্যান্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি। ইডেন পার্কের এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে চায় টাইগাররা। দলের অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখছেন। তার বিশ্বাস কিউইদের হারানো সম্ভব।
ম্যাচের আগের দিন বিসিবির ভিডিও বার্তায় দলের প্রতিনিধি হয়ে সৌম্য বলছিলেন, ‘এখানে জেতা সম্ভব। কিন্তু আমরা যেভাবে খেলছি, একদিন বোলাররা ভালো করছি, একদিন ব্যাটসম্যানরা। তিন বিভাগেই যদি ভালো করতে পারতাম তাহলে সহজ হত, জয় সম্ভব হত।’
এবারের সফরে ৫ ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই হার দেখেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে কিউইদের মাঠে টানা ৩১ ম্যাচেই জয়ের দেখা পায়নি দল। এবার কি ভাঙতে পারবে এই অনাকাংখিত রেকর্ড? সৌম্য আশাবাদী। বলেন, ‘আর একটা ম্যাচই বাকি আছে। যদি ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করতে পারি তাহলে জেতা সম্ভব। গত ম্যাচে ফিল্ডিং অনেক ভালো ছিল। একটা দুইটা ছোট ছোট ভুল হচ্ছে। এই ভুলগুলো না করি যদি- নিজেদের পক্ষে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমার মনে হয় কালকের ম্যাচ জিততে পারব।’
সফরের শেষ টি-টোয়েন্টির সামনে দাঁড়িয়েও ফিরে এসেছে আগের ম্যাচে অফিশিয়ালদের কাণ্ড। যেখানে জবাব দিতে নামা বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ১৬ ওভারে ১৪৮ রানের। কিন্তু খেলা ৯ বল হতেই জানানো হয়- ১৬ ওভারে ১৭১ রানের চাই টাইগারদের।
আগের ম্যাচের এমন নাটক প্রসঙ্গে সৌম্য বলছিলেন, ‘প্রথমে সবার মধ্যে দ্বিধা ছিল কত টার্গেট। যখন দুই ওপেনার ব্যাটিংয়ে গেছে টার্গেট ঠিক ছিল না। যখন মাঠের ভেতর গেলাম, আম্পায়ারের সাথে কথা বললাম, উনি বললেন এরকম একটা লক্ষ্য। এভাবেই শুরু করলাম। প্রথম বলেই চার পেয়ে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল। আগের ম্যাচগুলো এত ভালো হয়নি। চেষ্টা ছিল এই ম্যাচে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার। উইকেটও ভালো ছিল। দিনশেষে ম্যাচ জিতলে আরও ভালো লাগত।’
আগের ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছেন সৌম্য। ইডেন পার্কের উইকেটও ব্যাটিং সহায়ক। যদিও আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানাচ্ছে এখানেও বেরসিক বৃষ্টি বিপাকে ফেলতে পারে!
এটি/এনইউ