আইসিসি ট্রফি দলের ছবিই স্মরণীয়

ক্রীড়াঙ্গনে লক্ষাধিক ছবি তুলেছেন খন্দকার তারেক। অনেক ইতিহাস ফ্রেমবন্দী হয়েছে তারেকের ক্যামেরায়। সেই তারেককে আজ ফ্রেমবন্দী করতে একের পর এক ক্লিক। শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে পদক গ্রহণ করেছেন খন্দকার তারেক মোঃ নুরুল্লাহ। যিনি ক্রীড়াঙ্গন ও গণমাধ্যমে খন্দকার তারেক হিসেবেই পরিচিত।
ওসমানী মিলনায়তনে অসংখ্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ-সংগঠকের ছবি তুলেছেন। ১৯৯৯ সালে তারেকের স্ত্রী সাবেক ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন সৈয়দ মরিয়ম তারেক জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন এই ওসমানী মিলনায়তেনই। স্ত্রীর পদকপ্রাপ্তির দুই যুগ পর নিজেও পেলেন স্বীকৃতি, 'স্বামী-স্ত্রী দুই জনই আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পদক গ্রহণ করলাম’ বেশ তৃপ্ত কন্ঠে বলেন তারেক।
মাঝে স্থগিত থাকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার ২০২১ সাল থেকে পুনরায় শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার হিসেবে শুরু হয়েছে। শুরুর বছর থেকেই সাংবাদিকদেরও সম্মাননা জানাচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। গত দুই বছর সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছিলেন মুহাম্মদ কামরুজ্জামান ও কাশীনাথ বসাক। তৃতীয় বছরে এই পুরস্কার হাতে নিয়ে খন্দকার তারেক বলেন, 'যে কোনো স্বীকৃতি গৌরবের। ক্রীড়াঙ্গনে ফটো সাংবাদিকেরও অবদান অনেক। সেই অবদান মূল্যায় করায় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় অদ্যবধি ক্রীড়াঙ্গনের ছবি তুলছেন খন্দকার তারেক। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন পত্রিকা দৈনিক সংবাদে ক্রীড়া বিভাগ থেকে তার সাংবাদিকতার হাতেখড়ি। তারেক ফটো সাংবাদিকতা জীবনের প্রায় পুরোটাই কেটেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পাক্ষিক পত্রিকা ক্রীড়াজগতে। তিন দশকের বেশি ক্রীড়াজগতে ফটোগ্রাফি করে অবসরে গিয়েছেন। প্রাতিষ্ঠানিক অবসরে গেলেও এখনো প্রতিনিয়ত খেলার ছবি তুলতে ছুটে বেড়ান।
গত চার দশকের বেশি সময়ে দেশে-বিদেশে খন্দকার তারেক অগণিত ছবি তুলেছেন। এর মধ্যে তারেকের কাছে সবচেয়ে স্মরণীয়, '১৯৯৭ সালে বিকেএসপিতে গর্ডন গ্রিনিজের অধীনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অনুশীলন করেছিল। বিকেএসপির দ্বিতীয় তলায় কোচ, খেলোয়াড়দের দাড় করিয়ে ছবি উঠিয়েছিলাম। যেটা ক্রীড়াজগতের প্রচ্ছদে প্রকাশ হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই দলই আইসিসি ট্রফি জিতে এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাক বদলের শুরু সেখান থেকেই। তাই ঐ ছবিটি আমার কাছে বেশি স্মরণীয়।’ মালয়েশিয়ায় আইসিসি ট্রফি কাভারও করেছিলেন খন্দকার তারেক।
ক্রীড়াঙ্গনে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ডানা-হাশেম, সাবরিনা-রিংকি, রনি-শিলা দম্পতির সঙ্গে যোগ হলো মরিয়ম-তারেক নামও। স্বামী-স্ত্রী ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত হলেও তারেকের সবচেয়ে বড় গর্ব, 'এটি অবশ্যই দারুণ বিষয় আমরা দুই জনই ক্রীড়াঙ্গনের অবদানের জন্য জাতীয় স্বীকৃতি পেয়েছি। তবে আমার সবচেয়ে বড় গর্বের জায়গা আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আমি লড়াই করেছি। এটাই আমার বড় ভালোবাসা, গর্ব এবং অর্জন।' খন্দকার তারেক নয় নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন।
জেড/এইচজেএস