ক্লাসেন তাণ্ডবের দিনে জাম্পার লজ্জার সেঞ্চুরি

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে হারের পর তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে লড়াইয়ে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর চতুর্থ ওয়ানডেতে অজি বোলারদের ওপর তারা রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে। নির্ধারিত ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪১৬ রান। মাত্র ৮৩ বলে ১৭৪ রান করে হেনরিখ ক্লাসেন সেই পাহাড় গড়ার পথে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আজ (শুক্রবার) অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০৬ সালে তাদের তাণ্ডবের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। জোহানেসবার্গের সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৩৪ রান তাড়া করে ১ উইকেটের জয় পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। এবার সেঞ্চুরিয়নে ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করে আফ্রিকানরা সেই পথেই হেঁটেছে।

স্বাগতিকরা ইনিংসের শুরু থেকেই এদিন বেশ দারুণ খেলেছে। ৬৪ রানে তাদের প্রথম উইকেট জুটি ভাঙে। এরপর পরবর্তী জুটিগুলোও রান তুলেছে একই তালে। রেজা হেন্ড্রিকস ২৮ এবং কুইন্টন ডি কক ৪৫ রানে ফিরেন। এরপর অধিনায়ক এইডেন মার্করাম কেবল ব্যাট হাতে ব্যর্থ। এরপরই শুরু হয় ভ্যান ডার ডুসেন ও ক্লাসেনের তাণ্ডব। ৮৩ বলে ১৩ চার ও ১৩ ছক্কায় ১৭৪ রান করেন ক্লাসেন। ওয়ানডে ফরম্যাটে যা তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। সেই সঙ্গে ওয়ানডেতে চতুর্থ দ্রুততম ১৫০ রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন। এছাড়া ডুসেন ফেরেন ৬২ রানে। ৬৫ বলের ইনিংসটিতে তিনি ৭টি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান।
এরপর পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলার ও ক্লাসেনের জুটিতে উঠে ৯৪ বলে ২২২ রান। এই দুজন ওভারপ্রতি ১৪.৪৭ হারে রান তুলেছেন। ওয়ানডে ইতিহাসে কমপক্ষে ২০০ রান উঠেছে, এমন জুটিতে ওভারপ্রতি সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও এটিই। এর আগের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও এউইন মরগানের ১০.০৩ (২০৪ রান)।
শেষদিকে মিলার ৪৫ বলে ৮২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন মিলার। যার ওপর ভর করে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়ে গেল তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২০০৬ সালের বিখ্যাত সেই ম্যাচের ৪৩৮।

প্রোটিয়া ব্যাটারদের এমন তাণ্ডবের দিনে বোলারদের হাল সহজেই অনুমেয়। যেখানে লজ্জার এক সেঞ্চুরি এসেছে অজি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে। ১০ ওভারে উইকেটশূন্য এই বোলার দিয়েছেন ১১৩ রান। যা ওয়ানডে ক্রিকেটে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ। ২০০৬ সালের সেই জোহানেসবার্গ ক্ল্যাসিকেই ১১৩ রান দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মিক লুইস। এছাড়া জশ হ্যাজলউড, মার্কাস স্টয়নিস ও নাথান এলিস প্রায় ৮ গড়ে রান দিয়েছেন।
এএইচএস