অবশেষে শেষ ষোলোতে বার্সেলোনা; পিএসজির মান বাঁচালেন এমবাপে

জাভি হার্নান্দেজ যেন ধীরে চলো নীতির একদম আদর্শ ভক্ত। বিপুল প্রত্যাশা নিয়ে বার্সেলোনার ডাগআউটে কোচ হয়ে এসেছিলেন এই মিডফিল্ড মায়েস্ত্রা। তবে রাতারাতি কোনো উন্নতি তিনি দেখাননি। প্রথমে ঘরের মাঠে জয় নিশ্চিত করেছেন। পরে ধীরে ধীরে আধিপত্য বাড়িয়েছেন নিজের লিগে। এবার খানিক সাফল্য দেখালেন ইউরোপে। জাভির অধীনে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে গেলো বার্সেলোনা।
মঙ্গলবার রাতে দুই পর্তুগিজ তারকার গোলে শেষ ষোলোতে পা রাখে বার্সা। একইদিনে শেষ মিনিটের গোলে পিএসজির মান বাঁচিয়েছেন এমবাপে। তার গোলের সুবাদে ইউসিএলের নকআউটে এক পা দিয়ে রাখলো ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়নরা।
আরও পড়ুন
বার্সেলোনা ২ - ১ পোর্তো
জিতলেই শেষ ১৬ এর টিকিট কাটবে বার্সেলোনা। স্পেনিশ চ্যাম্পিয়নদের সমীকরণ ছিল এমনই। জাভি বার্সেলোনায় আসার পর যা কখনো হয়নি, সেই কাজটাই করার সুযোগ আরাউহো-পেদ্রিদের সামনে। এমন এক ম্যাচেই কিনা শুরটা বার্সেলোনা করলো নড়বড়ে। হোয়াও ফেলিক্স আর রাফিনিয়া বারবার ভয় ধরিয়েছেন পোর্তো ডিফেন্সে। কিন্তু বারবার লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে পথ হারিয়েছেন তারা।
খেলা অবশ্য একপেশে ছিল না মোটেই। পোর্তো যেভাবে চেপে ধরেছিল, মনেই হচ্ছিল বার্সার গোল খাওয়া বুঝি সময়ের ব্যাপার। ইনাকি পেনার দুর্দান্ত কিছু সেইভ না থাকলে ২০ মিনিটের আগেই গোল খেতে পারতো বার্সা। তবে শেষ পর্যন্ত গোল যে হয়নি তা না। ম্যাচের বয়স যখন আধঘণ্টা, তখনই গোল পায় পর্তুগিজ ক্লাবটি। রিবাউন্ড থেকে আসা বলে জোরালো শটে বার্সার জালে কাঁপন ধরান পেপে আকুইনা।

তবে সেই লিডের অস্তিত্ব ছিল দুই মিনিট। ফরোয়ার্ডদের গোল মিসের মিছিলে স্কোরশিটের দায়িত্ব হোয়াও ক্যান্সেলো তুলে নিলেন নিজের কাঁধে। পোর্তোর দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক গোলে বার্সাকে সমতায় ফেরান এই রাইট ব্যাক।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সেভাবে আর সুযোগ পায়নি পোর্তো। বরং দারুণ খেলতে থাকা হোয়াও ফেলিক্স এই সময় হয়ে উঠলেন আরও ভয়ানক। একবার তার শট বারপোস্টে লাগলেও তাতে থামেননি তিনি। উল্টো ৫৭তম মিনিটে গোল করে দলকে এনে দেন লিড। ম্যাচের শেষেও তার গোলটাই হয়ে রইল পার্থক্য। ২-১ গোলের জয়ে নকআউটে বার্সেলোনা।
পিএসজি ১ - ১ নিউক্যাসেল
গ্রুপ অভ ডেথে ইংলিশ ক্লাব নিউক্যাসেলের সামনে আগেই ধরাশায়ী হয়েছিল পিএসজি। শঙ্কা ছিল এই ম্যাচেও। তবে এই ম্যাচ হয়েছে পিএসজির মাঠে। লুইস এনরিকে শিষ্যরা প্রায় হারতেই বসেছিল। কিন্তু ভাগ্য তাদের পক্ষই যেন নিয়েছিল এদিন। নয়ত ৯৮তম মিনিটেই বা কেন পেনাল্টি পাবে ফ্রান্সের ক্লাবটি।

অথচ প্রথমার্ধেই অন্তত ৩ গোল পেতে পারতো তারা। ৮ম মিনিটে এমবাপে আর ৩১তম মিনিটে ওসামান ডেম্বেলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছেন নিউক্যাসেল গোলরক্ষক নিক পোপ। মাঝে অবশ্য ম্যাগপাইরা গোল পেয়েছে। সুইডিশ স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার ইসাক গোল করে এগিয়ে দেয় ইংলিশ ক্লাবটিকে।
প্রথমার্ধের ৪৫তম মিনিটে ডেম্বেলে মিস করেছেন আরও এক সহজ সুযগ। দ্বিতীয়ার্ধেও টানা আক্রমণ করে সফল হয়নি পিএসজি। হাকিমির করা ক্রসগুলো দেখেনি সফলতার মুখ। মাঝে তাদের পেনাল্টির আবেদনও নাকচ করেছে রেফারি।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচের যোগ করা ৮ মিনিটে গিয়ে কপাল খোলে পিএসজির। হ্যান্ডবলের সুবাদে স্পটকিক পায় তারা। গোল করে পিএসজির মান বাঁচান এমবাপে।
জেএ