ওয়ার্নারের সমালোচনা করায় জনসনকে ছাঁটাই

কয়েকদিন আগেই ডেভিড ওয়ার্নারের নায়কোচিত বিদায় জানানোর মঞ্চ প্রস্তুতের ঘটনায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) ওপর তোপ দেগেছিলেন দেশটির সাবেক পেসার মিচেল জনসন। মূলত বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে এই অজি ওপেনার জড়িত থাকার পরও তার এমন বিদায়ের আয়োজন নিয়ে জনসন কড়া সমালোচনায় নেমেছিলেন। এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজের ধারাভাষ্যকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ৪২ বছর বয়সী সাবেক এই পেসারকে।
এর আগে জনসন নিজেই জানিয়েছিলেন, ‘ট্রিপল এম’ সংস্থার হয়ে এই সিরিজে ধারাভাষ্য দেবেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার ওই সংস্থাটির প্রকাশিত তালিকায় নাম নেই জনসনের। সেখানে রয়েছেন– মার্ভ হিউজ, ওয়াসিম আকরাম এবং মার্ক টেলরের মতো কিংবদন্তিরা। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার যে, ওয়ার্নারকে নিয়ে জনসনের মন্তব্য খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি কেউই। যে কারণে ধারাভাষ্যকারদের তালিকা থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফিকার বিপক্ষে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের একজন ওয়ার্নার। সেই স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারিতে তার জড়িত থাকার পরও তাকে ঘটা করে বিদায় জানানো অস্ট্রেলিয়ার জন্য অসম্মানের বলে মনে করছেন জনসন। দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ানে দীর্ঘ এক কলামে তিনি লেখেন, ‘স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারিতে সে একা ছিল না, ঠিক আছে। তবে ওই সময় সে দলের অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড় ছিল। ‘নেতা’ মনে করে যে ক্ষমতার অপব্যবহার করাকে বেছে নেয়। এখন তার এমন বিদায় আমাদের দেশের জন্য একই রকম ঔদ্ধত্য এবং অসম্মানের। ভক্তরা ওয়ার্নারের জন্য কী নিয়ে আসবেন? বানিংসের (অস্ট্রেলিয়ার একটি কোম্পানি) তো স্যান্ডপেপার শেষ হয়ে যাবে।’
২০২০ সালের পর থেকে ওয়ার্নারের টেস্ট ব্যাটিং গড় ত্রিশেরও নিচে। টেস্ট ক্রিকেটে নিজের পারফরম্যান্স গ্রাফের এমন নিম্নমুখী গতি তিনি নিজেও টের পেয়েছেন। তাইতো এই ফরম্যাট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছেন তিনি। আসন্ন পাকিস্তান সিরিজকেই ওয়ার্নার নিজের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট সিরিজ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। যার জন্য মঞ্চও প্রস্তুত করে দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। নিজেদের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে টেস্ট সিরিজ শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের হয়ে একসঙ্গেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ওয়ার্নার ও জনসনের। তবে সে সময় তাদের সম্পর্ক এমন তিক্ত ছিল না। কিন্তু স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ওয়ার্নাররা শাস্তি পেলেও হয়তো বিষয়টি এখনও মানতে রাজি নন জনসন। এর আগে ওয়ার্নারের সঙ্গে সর্বশেষে ২০১৩-১৪ অ্যাশেজ এবং ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের সময়ে দুজন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছিলেন।
এএইচএস