নেই মাহমুদউল্লাহ-মিরাজ, মুশফিকের তোপে জিতল মোহামেডান

সর্বশেষ বিপিএলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচে নিজের পেস আগুনে প্রতিপক্ষকে পুড়িয়েছিলেন মুশফিক হাসান। এবার সেই ফর্ম তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও টেনে নিয়ে গেলেন। তার বোলিং তোপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। যদিও দলটির দুই তারকা ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ জাতীয় দলের সিরিজের কারণে নেই ডিপিএলে।
বিকেএসপিতে আজ (মঙ্গলবার) মুশফিকের সঙ্গে মোহামেডানের বোলিং আক্রমণে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন আরেক পেসার আরিফুল ইসলাম। মুশফিকের চার আর আরিফুলের তিন শিকারে সিটি ক্লাবকে ইমরুল কায়েসের মোহামেডান ৪৩ রানে হারিয়েছে। আগে ব্যাটিং করে তারা ৪৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তোলে। জবাবে সিটি ক্লাব ৪৬.২ ওভারে ১৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায়।
আগে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানের ভিত গড়ে দেওয়া রান এনে দেন রনি তালুকদার। তিনি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলেন। ডানহাতি এ ব্যাটারের ১০৮ বলে সাজানো ইনিংসটিতে ছিল ৪টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কার মার। এছাড়াও ৮৮ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রান করেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এছাড়া রুবেল মিয়ার ৩৩ এবং আরিফুলের ১৯ রান ছাড়া উল্লেখযোগ্য রান পাননি কেউই।
সিটি ক্লাবের হয়ে ৯.৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান। এছাড়াও দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সঞ্জিত সাহা ও রাফসান আল মাহমুদ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সিটি ক্লাবের শুরুটা ভালো হয়নি। ৩৭ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে তারা বিপদে পড়ে যায়। পরে রাফসান ও শাহরিয়ার কমল মিলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন। যদিও তাদের বিদায়ের পরবর্তী ২৯ রানের ব্যবধানে ফের তিনটি উইকেট হারালে আবারও চাপে পড়ে সিটি ক্লাব। এরপর মইনুল ইসলাম সোহেলকে নিয়ে ৬৩ রানের আরও একটি জুটি গড়েন রাফসান। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ১৪ রানের ব্যবধানে শেষ চারটি উইকেট হারালে হার মানতে হয় তাদের। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন রাফসান। ৯০ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি।
এছাড়া কমল ৩৮ বলে ৩৮ এবং মইনুল ৩৬ রান করেন। মোহামেডানের পক্ষে ৪৩ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিক হাসান। এছাড়া আরিফুল ৩টি ও নাঈম হাসান ২টি উইকেট নেন।
এএইচএস