চিতাবাঘের মরণঘাতি আক্রমণের শিকার সাবেক ক্রিকেটার
জিম্বাবুয়ের সাবেক অলরাউন্ডার গাই হুইটাল প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন। চিতাবাঘের মরণঘাতি আক্রমণের শিকার হয়েছেন তিনি। যার কারণে হারারেতে জরুরী সার্জারি করাতে হয়েছে হুইটালকে। রোডেশিয়ানদের হয়ে সবমিলিয়ে ১৯৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সাবেক এই ক্রিকেটারের বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
কেবল হুইটালই নন, চিতাবাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছে তার বিশ্বস্ত কুকুর ‘চিকারা’ও। মূলত ৫১ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেটারকে বাঁচাতে গিয়ে চিকারাও আহত হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে এই ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে এক ফেসবুক পোস্টে বিস্তারিত জানিয়েছেন হুইটালের স্ত্রী হান্নাহ স্টুকস হুইটাল। এর আগে আরও একবার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন এই সাবেক ক্রিকেটার। ২০১৩ সালে একবার ঘুম থেকে ওঠে তিনি নিজের বিছানার নিচে ৮ ফুট লম্বা আর ১৬৫ কেজি ওজনের একটি কুমির দেখতে পান।
হান্নাহ স্টুকস হুইটালের আহত হওয়ার পর ঘটনাস্থল এবং সার্জারি পরবর্তী দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে হাত-পা ও মাথায় ব্যান্ডেজ দেখা যায় হুইটালের। চিতাবাঘের আক্রমণে তার অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে বিশ্বস্ত চিকারা না থাকলে, হুইটাল আরও বড় আঘাত পেতেন বলে জানিয়েছেন স্ত্রী হান্নাহ। সেজন্য হুইটালের বিশ্বস্ত এই সঙ্গীকে তিনি ‘ভেরি স্পেশাল বয়’ বলে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে সাবেক ক্রিকেটারের বিপদে খবর নেওয়া শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তার স্ত্রী।
Evening all you special people Guy and I are overwhelmed by the hundreds of messages of well wishers after guys run in...
Posted by Hannah Stooks Whittall on Monday, April 22, 2024
একইসঙ্গে বারবার এ ধরনের ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়ায় স্বামী হুইটাল ভাগ্যবান বলেও দাবি করেন হান্নাহ। সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে তিনি বলেন, ‘ও খুবই ভাগ্যবান মানুষ। প্রথমে কুমির, এরপর চিতা। ওর প্রাণশক্তি তীব্র। ও ভাগ্যবান যে চিকারা সাহায্য করার জন্য ওর সঙ্গে ছিল। তা না হলে কী হতো কে জানে! আমরা ওর প্রতি কৃতজ্ঞ। ট্রিট হিসেবে চিকারা অতিরিক্ত কিছু মাংস পাবে।’
আরও পড়ুন
জিম্বাবুয়ের হয়ে ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন হুইটাল। তাদের হয়ে ৪৯টি টেস্ট ও ১৪৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। সবমিলিয়ে ৪৯১২ রান এবং ১৩৯ উইকেট শিকার করেন তিনি। বর্তমানে জিম্বাবুয়ের দক্ষিণ-পূর্ব শহর হুমানিতে সাফারি ব্যবসা করেন হুইটাল। সেখানেই তিনি আক্রমণের শিকার হলেন।
এএইচএস