রাজনীতিতে নাম লেখানোর প্রশ্নে যা বললেন তামিম

সতীর্থ সাকিব আল হাসান এবং মাশরাফি বিন মর্তুজা নাম লিখিয়েছিলেন রাজনীতির অধ্যায়ে। ছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। জুলাই বিপ্লবের পর থেকে দুজনেই নিজের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে সমালোচিত। গতকাল বিপিএল ফাইনালের পুরস্কার বিতরণের মঞ্চ থেকে অবশ্য দুজনের প্রতি ঘৃণা না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তামিম ইকবাল।
এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসেও তামিমের কাছে ছিল রাজনীতির প্রশ্ন। ২০২৫ সালের বিপিএল শিরোপাজয়ী অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয় রাজনীতিতে নাম লেখানোর ইচ্ছে কি না। জবাবে বলেন, ‘রাজনীতিতে... এখন তো আমি রিটায়ার্ড, যদিও আসিও, এখন ওই আলোচনাটা হবে না…। পরে আরো বললেন, ‘তবে আল্লাহর রহমতে এরকম কোনো প্ল্যান নেই।’
পরে আবার জানতে চাওয়া হয় বোর্ড সভাপতি হিসেবে দেখা যাবে কি না তামিম বললেন, ‘ওটা দেখা যাক।’
ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ে তামিম বলেন, ‘ফিলিংটা তো ফ্যান্টাস্টিক। ওরা যেভাবে শুরু করেছিল মনে হচ্ছিল ২২০-২৫ চেইজ করতে হতে পারে। শেষ ৩-৪ ওভার আমাদের বোলাররা দারুণ বল করেছে। আমরা খুব বেশি রান দেইনি, বাউন্ডারিও দেইনি। আমাদের হিসাবে ২০ রান তারা কম করেছে। এই উইকেটে ভালো শুরু করলে এই রান তাড়া করা সম্ভব ছিল।’
তামিম আরও বলেন, ‘ব্যাটিং নিয়ে যা কথা হচ্ছিল প্রথম থেকেই একদম পাগলের মত মারতে হবে তা না। ৬ ওভারে যদি ৫০ রানের মধ্যে থাকি আমরা ম্যাচে থাকি কারণ শেষ দিকে আমাদের পাওয়ারহিটার আছে। ভালো শুরু পেয়েছি, (তাওহিদ) হৃদয়কে অনেক কৃতিত্ব দিতে চাই। প্রশ্ন উঠতে পারে, হৃদয় এভাবে খেলেছে কেন? আসলে হৃদয় এভাবে খেলার কারণেই কিন্তু আমি সেভাবে খেলতে পেরেছি। আমি কুইক শুরু পেলে ছন্দটা হারাতে চাই না। আমি তাকে বলছিলাম কানেক্ট না করতে পারলেও সমস্যা নেই সিঙ্গেল নিয়ে আমাকে দাও। আমি হ্যান্ডেল করব। বিনুরা প্রথম দুই ওভারে মনে হয় না ১০-১২ রানের বেশি দিয়েছে। আমি ভালো ফিল করছিলাম। অনেক জনের ব্যাপারে অনেক কিছু বলতে পারি কিন্তু রিশাদের দুইটা ছয় ছিল টার্নিং পয়েন্ট।’
এসএইচ/জেএ