বিপিএলে খাজা নাফেকে জাল টিকিট দেওয়ার অভিযোগ, আসলে যা ঘটেছে

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর শেষ হলেও কিছু রেশ রয়ে গেছে এখনও। আসরজুড়ে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বকেয়া রাখার বিষয়টি নিয়ে কম আলোচনা-সমালোচনা হয়নি। বিপিএল শেষেও তেমনই একটি অভিযোগ এসেছে পাকিস্তানের এক গণমাধ্যমে। যেখানে তারা চিটাগাং কিংসের পাক ক্রিকেটার খাজা নাফের পারিশ্রমিক বকেয়া রাখার পাশাপাশি তাকে বিমানের ভুয়া টিকিট দেওয়ার অভিযোগ তোলে। তবে বিষয়টি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন নাফে।
পাক গণমাধ্যম জিও টিভির উর্দু সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই ক্রিকেটারকে এখন পর্যন্ত তার পুরো পারিশ্রমিক দেয়নি চিটাগাং কিংস। এ ছাড়া বিমানের ভুয়া টিকিট দেওয়ার কারণে নাফেকে ঢাকা বিমানবন্দরে আটকেও রাখা হয়।’
কেবল তাই নয়, গণমাধ্যমটির দাবি– এর আগে আরেক পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ হারিসও পারিশ্রমিকের ঝামেলায় পড়েন। তার দল দুর্বার রাজশাহীর অন্য বিদেশি খেলোয়াড়েরাও ছিলেন তার সঙ্গে। যা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গেও যোগাযোগ করে।

এই খবরটি জিও নিউজের ইংরেজি সংস্করণে নেই। তবে উর্দু প্রতিবেদনে বলা ‘জাল টিকিট ও পারিশ্রমিক না দেওয়ার’ অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে স্বয়ং খাজা নাফে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে দাবি করা এমন কিছু ঘটেনি বলেও নিশ্চিত করেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার। এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই মুহূর্তে হোটেল শেরাটনে অবস্থান করছেন বলেও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন
খাজা নাফে বলছেন, ‘আমাকে বিমানবন্দরে আটকে রাখার বিষয়টি সঠিক নয়। ইতোমধ্যে আমাদের পারিশ্রমিকও শতভাগ পরিশোধ করা হয়েছে। যে সংবাদটি ছড়িয়েছে সেটি ভুয়া, এ ধরনের কিছুই ঘটেনি। আমি এই মুহূর্তে টিম হোটেল শেরাটনে আছি। চিটাগাং কিংসের সঙ্গেও আমার সময়টা ভালো কেটেছে।’
প্রসঙ্গত, বিপিএলের শুরুর দিকে চিটাগাং কিংসের একাদশে সুযোগ না পেলেও, শেষদিকে দারুণ ব্যাটিংয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হতাশা বাড়িয়েছেন খাজা নাফে। ৫ ম্যাচে সুযোগ পেয়েই ৩টি ফিফটি করেছেন। ৪০.২০ গড় এবং ১৪২.৫৫ স্ট্রাইকরেটে ২০১ রান করেছেন ২২ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটার। বিপিএলের ফাইনালেও তিনি ওপেনিংয়ে ৪৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। যাতে ভর করে চিটাগাং–ও ১৯৪ রানের বড় পুঁজি পায়। যদিও সেই লক্ষ্য পেরিয়ে তাদের হতাশায় ডোবায় টানা দ্বিতীয়বার বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।
এএইচএস