সর্বনিম্ন রান করেও জিতে ওয়ানডেতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বরেকর্ড

পাকিস্তান ও দুবাইয়ের মাটিতে আগামীকাল পর্দা উঠছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। যেখানে খেলবে ৮টি দল, তবে বাকিরাও বসে নেই। ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাইপর্বের টুর্নামেন্ট লিগ–২ খেলছে ৮টি দল। তেমনই এক ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জিতে (পূর্ণ দৈর্ঘ্যের বা ওভার কাটা হয়নি এমন) বিশ্বরেকর্ড গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগে ব্যাট করে তারা মাত্র ১২২ রানে অলআউট হয়েও ম্যাচটি জিতেছে।
ওমানের মাঠে চলমান এই টুর্নামেন্টে আজ (মঙ্গলবার) টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওমান। এরপর প্রথমে ব্যাট করতে নামা যুক্তরাষ্ট্রকে ৩৫.৩ ওভারেই মাত্র ১২২ রানে অলআউট করে দেয়। ছোট সেই লক্ষ্য তাড়ায় চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ওমানও। ২৫.৩ ওভারে তারা ৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফলে ৫৭ রানে ম্যাচটি জিতে ইতিহাস গড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম রানে ম্যাচ ডিফেন্ড করার রেকর্ড ছিল ভারতের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা ১৯৮৫ সালে মাত্র ১২৫ রান করেও ম্যাচ জিতেছিল। এরচেয়ে কম রান করে এতদিন ম্যাচ জয়ের কীর্তি ছিল না কোনো দলের। ৫০ ওভারের ম্যাচে ভারতের চেয়ে তিন রান কম (১২২) করেও ওমানকে হারিয়ে ৪০ বছর আগের সেই রেকর্ড ভেঙে দিলো যুক্তরাষ্ট্র।
— ICC (@ICC) February 18, 2025
পুরুষ ক্রিকেটে ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম রান করেও জয়ের রেকর্ড :
১২২ রান— ওমানের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের জয় (২০২৫)
১২৫ রান— পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয় (১৯৮৫)
১২৭ রান— ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় (১৯৮১)
১২৯ রান— ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় (১৯৯৬)
১২৯ রান— আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের জয় (২০১৭)
এদিন অবশ্য আরেকটি ইতিহাস গড়েছে ওমান। টানা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তারা শুধুমাত্র স্পিন বোলারদের দিয়ে বোলিং করিয়েছে। এই ম্যাচটি ছিল ওয়ানডে ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ যেখানে ইনিংসের ছয় ওভারেরও বেশি সময় শুধুমাত্র স্পিনাররা বল করেছেন। এর আগের ম্যাচেই প্রথম এমন কীর্তি গড়ে ওমান–ই। নামিবিয়ার বিপক্ষে ৩৩.১ ওভারে ওমান কোনো পেসার ব্যবহার করেনি, যা ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
আরও পড়ুন
এরপর তাদের চমকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও ম্যাচটি স্পিনারদের দিয়েই শেষ করেছে। একজন পেসারও ব্যবহার না করেই তারা ওমানকে ৬৫ রানে অলআউট করে দেয়। নোস্তুশ কেনজিগে ছিলেন দুর্দান্ত, তিনি ৭.৩ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। স্পিনাররা ম্যাচে মোট ১৯টি উইকেট নেন, বাকি একটি কাঁটা পড়ে রানআউটে। এই ম্যাচে স্পিনারদের আধিপত্য ওয়ানডে ইতিহাসে স্পিনারদের দ্বারা সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া ম্যাচগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এএইচএস