বর্ষীয়ান গোলরক্ষক রনজিত দাসের আত্মজীবনী প্রকাশ

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ফুটবলের সেরা গোলরক্ষকের আলোচনায় আসে সান্টু-মহসিন-আমিনুলের নাম। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে অবশ্য একটাই নাম– রনজিত দাস। পূর্ব পাকিস্তান দলে তিনি প্রধান গোলরক্ষক ছিলেন। পাকিস্তান দলের ক্যাম্পে ডাক পেলেও খেলার সুযোগ হয়নি। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত কিংবদন্তি গোলরক্ষক রনজিত দাস আজ (শুক্রবার) নিজের আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন।
আত্মজীবনী ‘ক্রীড়াঙ্গনের ফেলে আসা দিনগুলো’ গ্রন্থে তার খেলোয়াড়ী জীবনের নানা গল্প ফুটিয়ে তুলেছেন। ফুটবলার হিসেবে তার ক্যারিয়ারের সোনালী সময় কেটেছে আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবে। আজাদ স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে ঢাকা ফুটবল লিগে একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন গোলরক্ষক রনজিত। ফুটবল ছাড়া তিনি হকিও খেলতেন। খেলা ছাড়ার পরও আজাদ স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন রনজিত। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজ জেলা সিলেটেই বসবাস করছেন।
বাংলাদেশের কিংবদন্তি গোলরক্ষক রনজিতের বয়স এখন ৯৪। শীর্ষ পর্যায়ে জীবিত ক্রীড়াবিদদের মধ্যে তিনিই এখন বয়োজ্যেষ্ঠ। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি কানে শুনতেন না। কাগজে লিখে কিছু জিজ্ঞেস করলে তিনি সেটা পড়ে সাবলীলভাবে কথা বলতে পারতেন। বয়সের ভারে সেই কথার ধারও কমেছে অনেকটা।
আত্মজীবনী প্রকাশনা অনুষ্ঠান আজ বিকেল ৪টায় হয়েছে লেখকের বাসভবন সিলেটের করেরপাড়ার কমলাকান্ত ভবনে। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ক্রীড়া সংগঠক মো. ইউসুফ আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাক্ষিক ‘ক্রীড়াজগত’ পত্রিকার সম্পাদক দুলাল মাহমুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন খেলোয়াড় এলহাম সুলতান, আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান, প্রাক্তন খেলোয়াড় প্রবীর রঞ্জন দাশ ভানু, ক্রীড়া সংগঠক নিষেন্দু দেব নাকু, রতন মজুমদার, বিভাগীয় ক্রিকেট আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশরাফ আরমান, রনজিত দাসের সহধর্মিণী রেখা দাস, সন্তান– রীমা দাস, রূপা দাস, রাজীব দাস এবং জামাতা– নির্মল কান্তি তালুকদার ও কাজলকান্তি দাস। উপস্থাপনায় ছিলেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ।
এজেড/এএইচএস