দ্বিগুণ লিড নিয়ে ১০ জনের বিপক্ষেও জয়হীন লিভারপুল
চার ম্যাচ হাতে রেখেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লিভারপুল। ফলে বাকি ম্যাচগুলো তাদের জন্য অনেকটাই নিয়মরক্ষার লড়াই। বিপরীতে প্রতিপক্ষ দলের জন্য পয়েন্ট টেবিলে ব্যবধান কমানোর সুযোগ। শিরোপা নিশ্চিতের পর অলরেডরা প্রথম ম্যাচে চেলসির কাছে বড় হার এবং সর্বশেষ গতকাল আর্সেনালের সঙ্গে ড্র করেছে। যদিও ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-০ গোলে লিড নিয়েছিল আর্নে স্লটের লিভারপুল।
ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে তারা গতকাল (শনিবার) আর্সেনালকে আতিথ্য দিতে নামে। প্রথমার্ধে তাদের পক্ষে একটি করে গোলে দ্বিগুণ লিড এনে দেন কোডি গাকপো ও লুইস দিয়াজ। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের দখল নিয়ে সমতা টানা গোল করেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি ও মিকেল মেরিনো। আবার ১১ মিনিট বাকি থাকতেই মেরিনো লাল কার্ড দেখেন। কিন্তু ১০ জনের দলের বিপক্ষে আর সুবিধা নিতে পারেনি লিভারপুল। মাঠ ছাড়ে ২-২ সমতায়। ম্যাচের আগে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে গার্ড অব অনার দেয় আর্সেনালের ফুটবলাররা।
স্বাগতিক অলরেডরা ম্যাচের প্রথম লিড পায় ২০তম মিনিটে। গাকপো গোল করার পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লুইস দিয়াজ। দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই সেই লিড হাতছাড়া করার শুরুটা হয় ৪৭তম মিনিটে। মার্তিনেল্লির গোলে ব্যবধান কমায় মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল। মেরিনো সমতা নির্ধারণী গোল করেন ৭০তম মিনিটে। যদিও তার এবং গানারদের শেষটা সুখকর হয়নি। এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ৭৯তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
এরপর আর কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। আর্সেনালের পক্ষে অবশ্য যোগ করা সময়ে অ্যান্ডি রবার্টসন বল জালে জড়িয়েছিলেন, কিন্তু আক্রমণের শুরুতে ফাউল হওয়ায় সেই গোল মেলেনি। এবারের আসরে দুই দলের প্রথম দেখা হয়েছিল গানারদের এমিরেটস স্টেডিয়ামে। সেখানেও ম্যাচ একই স্কোরলাইনে শেষ হয়েছিল।
ইপিএল থেকে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উঠবে প্রথম পাঁচটি দল। ইতোমধ্যে শিরোপাজয়ী লিভারপুল ইউসিএলে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে ৩৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৮৩। সমান ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। একইদিন নিউক্যাসলের কাছে ২-০ গোলৈ হারা চেলসি আছে তিনে। তাদের পয়েন্ট ৬৬। এ ছাড়া ম্যানচেস্টার সিটি ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে চারে, সমান ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি পাঁচ এবং অ্যাস্টন ভিলা ছয়ে আছে।
এএইচএস
