এএফসি’র আসরে খেলতে পারবে তো মোহামেডান?

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন দল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) ক্লাব আসরে খেলে। দীর্ঘদিন পর লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ঢাকা মোহামেডানের সামনে এই সুযোগ আসছে। পাশাপাশি শঙ্কাও তৈরি হয়েছে মোহামেডান আদৌ এএফসি’র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে তো?
এএফসি’র ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ক্লাব লাইসেন্সিং করতে হয়। ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য ৩০ এপ্রিল ছিল সেই আবেদনের শেষ সময়। মোহামেডান নির্ধারিত সময়েই আবেদন করেছে। এএফসি’র ক্লাব লাইসেন্সিংয়ে অনেকগুলো শর্তপূরণ করতে হয়। জুনিয়র দল, নিজস্ব মাঠসহ ট্যাকনিক্যাল-প্রশাসনিক আরো অনেক কিছু।
এএফসি’র কিছু শর্ত মোহামেডান পুরোপুরি পূরণ করতে পারেনি নির্ধারিত সময়ের আবেদনে। তাই শঙ্কা জেগেছে লিগ চ্যাম্পিয়ন হলেও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে মোহামেডান খেলতে পারবে তো? ক্লাবটির ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব অবশ্য আশাবাদী, 'আমরা প্রিমিয়ার লিগ খেলি বাফুফের ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের মাধ্যমে। বাফুফের লাইসেন্সিংয়ের সাথে এএফসি’র লাইসেন্সিংয়ে বাড়তি কিছু বিষয় রয়েছে। আমরা নির্ধারিত সময়ে আবেদন করেছি। কিছু কাগজপত্র আমাদের বাকি আছে। সেগুলো পূরণযোগ্য এবং এজন্য একটু বাফুফের সহায়তা দরকার। বাফুফের সঙ্গে আমরা দ্রুত যোগাযোগ করে এ নিয়ে কাজ করব।'
ফেব্রুয়ারিতে প্রথম লেগ শেষে মোহামেডান পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল। তখনই অনেকটা স্পষ্ট ছিল শিরোপায় জোর সম্ভাবনা রয়েছে মোহামেডানের। মার্চ মাস পুরো সময় লিগ বিরতি ছিল জাতীয় দলের খেলার জন্য। এই সময় ক্লাব প্রশাসন ও কর্মকর্তারা এএফসি লাইসেন্সিংয়ের বিষয়গুলো তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি। কিছু শর্ত পূরণে আর্থিক ব্যয়ও রয়েছে। সেই সময় ঐ ব্যয় নির্বাহের লোকও ছিল না। ২০০৫ সালের পর মোহামেডান এএফসি’র আসরে আর খেলেনি। এবার আবার সুযোগ আসলেও মোহামেডান খেলতে পারবে কিনা এ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
এএফসি ক্লাব লাইসেন্সিং একটি অনলাইন পোর্টালে হয়। সেখানে ক্লাবগুলো তাদের ডকুমেন্টস ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে। আবেদনের সময়সীমার পর সেখানে কাগজপত্র সংযোজন করা যায় কিনা এটা সংশয়ের বিষয়। যদি সংযোজন না করা যায় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যা জমা পড়েছে সেটার ভিত্তিতেই এএফসি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। অনেক সময় ফেডারেশন-ক্লাবের অনেক অনুরোধেও সায় দেয় এএফসি। বাস্তবিকভাবে এখন বিষয়টি মোহামেডানের হাতে নেই পুরোটাই নির্ভর করছে বাফুফের আন্তরিকতা ও এএফসি’র নমনীয়তার উপর।
এবার আবাহনী, মোহামেডান, বসুন্ধরা কিংস, রহমতগঞ্জ ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন এএফসি ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য আবেদন করেছে। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবের অবস্থান ও লাইসেন্সিংয়ের ভিত্তিতে এএফসিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। চ্যাম্পিয়ন হয়েও যদি কোনো ক্লাব এএফসি লাইসেন্স না পায় তাহলে লিগের রানার্স আপ দল সেই সুযোগ পাবে। আবার একাধিক ক্লাবের লাইসেন্সিং পেলেও যে দলের অবস্থান লিগ টেবিলে উপরে তারাই এএফসিতে অংশগ্রহণ করবে। গত অর্ধ যুগে ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস এএফসি’র আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে। মোহামেডান কোনো কারণে এএফসি লাইসেন্স গ্রহণে ব্যর্থ হলে তখন রানার্স আপ হওয়া দল সুযোগ পাবে। তাই কিংস ও আবাহনীর রানার্স আপ হওয়ার লড়াইও চলতি লিগে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে থাকছে।
এজেড/এইচজেএস