একগাদা রেকর্ড গড়ে টেবিল টপারদের হারাল লখনৌ

এখনও পয়েন্ট টেবিলে আইপিএলের শীর্ষ দল গুজরাট টাইটান্স। যদিও সেই অবস্থান বদলে যেতে পারে লিগপর্ব শেষে। তবে চলমান অষ্টাদশ আসরের অন্যতম দাপুটে এই দল ইতোমধ্যে বিদায় নিশ্চিত করা লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে বরাবরই ব্যর্থ। এবার গুজরাট ঋষভ পান্তদের কাছে দু’বারই হেরেছে। সর্বশেষ তিন ম্যাচের ফলও একই। ২৩৫ রানের বড় পুঁজি নিয়ে গুজরাটকে ৩৩ রানে হারিয়েছে লখনৌ।
ঘরের মাঠ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গতকাল (বৃহস্পতিবার) শুভমান গিলের গুজরাট টস জিতে আগে বোলিং নেয়। ম্যাচের শুরু থেকেই স্বাগতিক বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন মিচেল মার্শ-নিকোলাস পুরানরা। আইপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করার দিনে অস্ট্রেলিয়ান তারকা মার্শ ৬৪ বলে ১০ চার ও ৮ ছক্কায় ১১৭ রান করেন। এ ছাড়া পুরান ৫৬ এবং পান্তের ১৬ রানের ক্যামিওতে ২৩৫ রানে বড় সংগ্রহ গড়ে লখনৌ। বিপরীতে গুজরাটের ব্যাটাররা থিতু হলেও ফিফটি পেরোনো ইনিংস খেলেছেন শাহরুখ খান (৫৭)। ৯ উইকেটে তাদের দৌড় থামে ২০২ রানে।
লখনৌর জয়ের ম্যাচে যত রেকর্ড
৫৬০
লখনৌর হয়ে আইপিএলের এক মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান (৫৬০) করলেন মিচেল মার্শ। এর আগে ২০২২ আসরে দলটির তৎকালীন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল সর্বোচ্চ ৬১৬ রান করেছিলেন। চলতি মৌসুমে লখনৌর বাকি আর এক ম্যাচ।
১৭
কালকের ম্যাচে লখনৌর ব্যাটাররা পুরো ইনিংসে ১৭টি ছক্কা মেরেছে। যা এক ইনিংসে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির জন্য সর্বোচ্চ।
২৩৫
আইপিএলের নিজেদের ইতিহাসে এটি লখনৌর তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২০২৩ আসরে তারা পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২৫৭ এবং চলতি আসরে কলকাতার সঙ্গে ২৩৮ রান করেছিল।
১১৭
লখনৌর ব্যাটার হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১৭ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস খেললেন মার্শ। তাদের জার্সিতে ২০২২ আসরে সর্বোচ্চ ১৪০* রানের ইনিংস খেলেছিলেন কুইন্টন ডি কক। এ ছাড়া মার্কাস স্টয়নিস গত আসরে ১২৪* করেছিলেন।
৯
কালকের ম্যাচে এই আসরে নবম ব্যাটার হিসেবে ব্যক্তিগত ৫০০ রানের মাইলফলক পূর্ণ করেন মার্শ। যা আইপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৮ ও ২০২৩ আসরে ৮, ২০১৩ ও ২০২৪ সালে ৭ জন ব্যাটার পাঁচশ রানের কীর্তি গড়েন।
৩৭
এক মৌসুমে লখনৌর হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন নিকোলাস পুরান। গত আসরেও তার ব্যাটে এসেছিল সর্বোচ্চ ৩৬টি ছক্কা। এ ছাড়া চলতি আসরে পুরানের পর মার্শ ৩০টি ছয় মেরেছেন।
আরও পড়ুন
৬
অজি তারকা মার্শ যে এবার দারুণ ফর্মে আছেন সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। চলতি আসরে তার ব্যাটে ৬টি পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস দেখা গেছে। যা লখনৌর হয়ে এক আসরে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ২০২২ সালে সমান ৬টি পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেন রাহুল। এ ছাড়া এবার ৫ বার পঞ্চাশ পেরিয়েছেন এইডেন মার্করাম।
৫
মার্শ ও মার্করাম মিলে এবার ৫ বার পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েছেন। যা তাদের জন্য যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ডি কক ও রাহুল মিলে ৬ এবং পুরান ও আয়ুশ বাদোনি মিলে ৫ বার গড়েন পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি।
৬৭.৭০
এদিন ম্যাচে পরাজিত গুজরাটের ওপেনিং জুটি ভাঙে ৪৬ রানে। আসরজুড়েই ওপেনিংয়ে শুভমান গিল ও সাই সুদর্শন মিলে রীতিমতো প্রতিপক্ষ বোলারদের নাস্তানাবুদ করছেন। যার ফলস্বরূপ আইপিএলে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন তারা। আইপিএলে ন্যূনতম ১০০০ রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৭.৭০ রানের গড় এসেছে গিল-সুদর্শনের জুটিতে। এ ছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো ৫৬.০৪, ক্রিস গেইল ও বিরাট কোহলি ৫২.৫৮ এবং লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল মিলে ৫২.৪৫ গড়ে রান করেন।
এএইচএস