মেসির সঙ্গে তুলনা নয়, ঋতুপর্ণা চাকমাই থাকতে চাই

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলবে। স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে ঋতুপর্ণা চাকমার জোড়া গোলেই মূলত এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ইতিহাস সৃষ্টি করে বাংলাদেশ নারী দল গতকাল রাতে দেশে ফিরেছে। গভীর রাতে সংবর্ধনার পর ঘণ্টা দুয়েক বিশ্রাম নিয়ে ঋতুপর্ণা ও মনিকা ভুটানে গেছেন।
রাঙামাটির প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঋতুপর্ণা চাকমা দেশসেরা ফুটবলার হয়ে উঠার গল্প বলেছেন ভুটানের পারো থেকে। ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়েরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে চাকমা নারীর অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের বাস্তব চিত্র।
১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ ঘুরে ভুটানে। ভ্রমণ ক্লান্তি কেটেছে কি?
ঋতুপর্ণা : না, এখনো কাটেনি। ভ্রমণের ধকল হয়েছে অনেক। গভীর রাতে আমাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে ফুটবলপ্রেমীদের ভালোবাসা ও সমর্থনে ক্লান্তি একেবারে বোধ হয়নি। অনুষ্ঠান আরো কিছুক্ষণ হলেও ক্লান্তি বোধ করতাম না। একটা অপূর্ব মুহূর্ত ছিল। ভুটানেও সেই আবহেই রয়েছি। ক্লাবের ম্যানেজার অভিনন্দন জানিয়েছেন। আগামীকাল ছোটখাটো উদযাপন করতে পারেন এমনটা বলেছেন।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের এমন উদযাপনের নেপথ্যের কারিগর আপনি। আপনার জোড়া গোলেই মিয়ানমার বধ এবং বাংলাদেশের এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত হয়েছে।
ঋতুপর্ণা : আমি গতকাল এবং আগেও বলেছি, ফুটবল টিম গেম, এখানে একক কারো কৃতিত্ব নেই। আমি গোল করেছি, ঠিক আছে কিন্তু আমাকে তো গোলের জন্য বল দিয়েছে, না হলে গোল করতাম কীভাবে? আবার আমি দুই গোল করেছি পাশাপাশি সবাই মিলে গোল রক্ষাও করেছি। দিন শেষে ম্যাচ জয় প্রয়োজন, সেই জয় একক কারো পক্ষে সম্ভব নয়, দলীয় সমন্বয়েই হয়।
গত বছর অক্টোবরে কাঠমান্ডুতে আপনার গোলে বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। মিয়ানমারে আপনার জোড়া গোলে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে। তিনটি গোলই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার দৃষ্টিতে কোন গোলটি এগিয়ে।
ঋতুপর্ণা : আপনিই বললেন তিনটি গোলই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আরেকটু বলব বাংলাদেশের জার্সিতে প্রতিটি গোলই গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগ পর্যন্ত সাফ চ্যাম্পিয়নের গোলটিকে এগিয়ে রাখতাম। এখন মিয়ানমারের বিপক্ষে দ্বিতীয় গোলটি। সামনের টুর্নামেন্ট বা অন্য খেলাগুলোতে গোল হলে সেগুলো আবার এগিয়ে থাকতে পারে।

ফুটবলাঙ্গনে সবাই আপনার বাঁ পায়ের জাদুতে মুগ্ধ। প্রতিটি গোলই প্রকৃত অর্থে মুগ্ধতার প্রতীক। এমন সুন্দর গোলের নেপথ্যের রহস্য কী?
ঋতুপর্ণা : আমি অনুশীলনে এ রকম চেষ্টা করি। অনুশীলনে কোচ ও আমার সতীর্থরা সহযোগিতা এবং সমর্থন করেন। এটা আমি মাঠে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। বিশেষ করে বক্সের আশেপাশে আমি আত্মবিশ্বাসী থাকি।
রাঙামাটির বীরসেন চাকমা আপনার ফুটবলার হওয়ার কারিগর। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আপনার এই উন্নতির পেছনে কোন কোচের অবদান বেশি?
ঋতুপর্ণা : আমি আজ ঋতুর্পণা হওয়ার পেছনে পুরো অবদানটাই উনার (বীরসেন)। উনি আমাকে ফুটবলে না আনলে অথবা আমার ওপর আস্থা না রাখলে ফুটবলে আসা হতো না। তাই তার প্রতি আমি চিরজীবন কৃতজ্ঞ। ছোটন স্যার আমাকে সাত বছরের বেশি অনুশীলন করিয়েছেন। তার নাম না নিলে অনেক অকৃতজ্ঞতা হবে। পল স্যারও আমাদের নিয়ে কাজ করেছেন। বাটলার স্যার প্রায় এক বছর কাজ করছেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সবার কাছ থেকেই শিখছি। এমনকি বিদেশের ক্লাব, কোচ ও খেলোয়াড় থেকেও। সুনির্দিষ্টভাবে কোনো এক ব্যক্তি কিংবা কোচের নাম আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। ফেডারেশনকেও আমি ধন্যবাদ জানাব কারণ তারা আমাদের দীর্ঘদিন থেকে নিয়মিত ক্যাম্পে রেখেছে। অনুশীলন ম্যাচের ব্যবস্থা করেছে।
রাঙামাটির প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আপনি এখন দেশের সেরা ক্রীড়া তারকাদের একজন। আপনার উঠে আসার পথে চ্যালেঞ্জগুলো কেমন ছিল?
ঋতুপর্ণা : দু’টি চ্যালেঞ্জ। প্রথমত নারী হিসেবে অন্য সকল নারীর মতো সামাজিক প্রতিবন্ধকতা আমারও ছিল। গ্রামীণ সমাজে নারীদের খেলাধুলা ভালোভাবে নেয় না। আরেকটি চ্যালেঞ্জ ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর একজন হিসেবে। যখন জাতীয় পর্যায়ে এসেছি নিজেকে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। আমরা চাকমা বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আলাদা ভাষা, খাবার, পোষাক, আবাস সব কিছুতেই ভিন্নতা থাকে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে খেলার চেয়ে এগুলো মানিয়ে নেওয়া ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। ধীরে ধীরে নিজেকে প্রস্তুত করেছি।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাফল্যে সবারই অবদান রয়েছে। এরপরও ভালো পারফরম্যান্স বিবেচনায় আপনি, মনিকা চাকমা, রুপ্না চাকমা, মারিয়া মান্দা অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীদের এত সফলতার রহস্য কি ?
ঋতুপর্ণা : বাংলাদেশের জন্য যারা খেলে সবাই সবার সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করে। আমাদের পারফরম্যান্স হয়তো অনেকের চোখে একটু বেশি দৃশ্যমান হয়। আসলে আমাদের জীবনটাই সংগ্রামের। পাহাড়ি সমাজে এক বেলা খাওয়ার জন্য আমরা অনেকেই অনেক সংগ্রাম করি। এজন্য আমাদের মধ্যে সংগ্রামের তাড়নাটা বেশি। ফলে আমরা যে কাজই করি সেটা কখনও ছেড়ে দিই না। খেলাটাও একটা লড়াই বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তাই আমরা একেবারে শেষ বিন্দু দিয়ে লড়ি যেটার প্রতিফলন আপনারা কিছুটা মাঠে দেখতে পান।
বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান আপনাকে বাংলাদেশের মেসি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ফুটবলাঙ্গন ও নানা মাধ্যমে আপনাকে মেসি নামে ডাকা হচ্ছে...
ঋতুপর্ণা : মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন। কোনোভাবেই তার সঙ্গে আমার নাম আলোচনায় আসে না। আমার অনুরোধ থাকবে এই তুলনা বা সামঞ্জস্যতা আলোচনা না করার। আমি ঋতুপর্ণা চাকমা ঋতুপর্ণাই থাকতে চাই। আমি আমার সাধারণ খেলাটাই খেলে যেতে চাই।
গতকাল সংস্কৃতি উপদেষ্টা তার সেরা স্পোর্টস পারসোনালিটি হিসেবে আপনাকে আখ্যায়িত করেছেন। ক্রীড়াপ্রেমীদের অনেকের কাছেই এখন আপনি বাংলাদেশের সেরা ক্রীড়াবিদ...
ঋতুপর্ণা : আমার খেলা মানুষ পছন্দ করছে এটা আমার জন্য আনন্দের এবং বিশাল ব্যাপার। আমি নিজেকে সাধারণ একজন ফুটবলারই মনে করি।

আপনার মুখে সব সময় হাসি এবং বিনয়ী ভাব থাকে। আপনার এই মন্তব্য সেই বিনয়ের বহিঃপ্রকাশ। এটাও ফুটবলাঙ্গনে সবাইকে মুগ্ধ করে। আপনার মাধ্যমে নারী ফুটবলে এত কীর্তি, এত সাফল্য আপনার। এরপরও আপনি এতটা বিনয়ী...
ঋতুপর্ণা : আমি মনে করি, মানুষ হিসেবে সবারই বিনয়ী হওয়া প্রয়োজন। মাঠে ও অনুশীলনে আমি ফুটবলার। এর বাইরে ব্যক্তি জীবনেও অনেক সময়। প্রত্যেক মানুষকেই বিনয়ী হওয়া প্রয়োজন। ফুটবলের মতো আমি এটাও চর্চা করি।
আপনি দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। আপনার ফুটবলীয় প্রতিভায় অনেকের ধারণা আপনি এশিয়ার শীর্ষ ফুটবলারদের একজন হতে পারেন।
ঋতুপর্ণা : ক্লাব, জাতীয় দল যখন যেখানে খেলি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার কাজই হচ্ছে সেরাটা দেওয়া। আমার সেরা পারফরম্যান্সের মাধ্যমে যদি কোনো স্বীকৃতি আসে, সেটা অবশ্যই দারুণ।
বছর ছয়েক আগে বাংলাদেশ মিয়ানমারের বিপক্ষে ৫ গোলে হেরেছিল। সেই দলে আপনিও ছিলেন। ছয় বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ মিয়ানমারকে হারাল তাদের মাটিতে। বাংলাদেশ দলের এই বিবর্তন কিভাবে হলো?
ঋতুপর্ণা : ঐ (এশিয়ান কাপ বাছাই) টুর্নামেন্ট দিয়ে আমার সিনিয়র দলে অভিষেক। তখন আমার বয়স ছিল ১৬-১৭। এ রকম আরও অনেকেই অনভিজ্ঞ ছিলাম। এই পাঁচ বছরে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিপক্ক হয়েছি। দক্ষিণ এশিয়ায় দুই বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। দক্ষিণ এশিয়ার বাইরেও আমাদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়েছি। ধারাবাহিক উন্নতির জন্যই আমাদের এই সাফল্য।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল ছিল একটা সুন্দর গোছালো পরিবার। হঠাৎ কোচ বাটলার ইস্যুতে আপনারা সিনিয়র ১৮ ফুটবলার বিদ্রোহ করলেন। অনেক ঘটনার পর আবার আপনারা কয়েকজন দলে ফিরলেন। সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে আবার দলে মনোযোগী হওয়া কতটুকু কঠিন ছিল।
ঋতুপর্ণা : এই সুন্দর সময়ে অতীত আর স্মরণ করতে চাই না। আমাদের স্পোর্টস পার্সনদের জন্য এ রকম চড়াই-উৎরাই সাধারণ বিষয়। প্রতিকূল পরিবেশে ধৈর্য্য রাখাটাও জরুরি।
ফুটবলের নানা প্রতিকূলতার পাশাপাশি আপনার পারিবারিক সংকটও রয়েছে। বাবাকে হারিয়েছেন অর্ধ যুগ আগে, একমাত্র ভাই নেই বছর তিনেক। আপনার মা দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত।
ঋতুপর্ণা : আমার বাবা ক্যান্সারে মারা গেছেন। আমার মা ২০২২ সাল থেকে অসুস্থ। টিউমার, অপারেশন, চিকিৎসার মধ্য দিয়েই চলতে হচ্ছে। নানা সমস্যার মধ্যেও আমার একটু তৃপ্তি, আমার ওপরই পরিবার নির্ভরশীল। যেখানে এই বয়সী সন্তানরা পরিবারের প্রতি নির্ভরশীল থাকে। আমি পরিবারের ব্যয় নির্বাহ ও মায়ের চিকিৎসা করাচ্ছি।
নারীদের ঘরোয়া লিগ নেই। বাফুফের মাসিক বেতন ৫০ হাজারের মতো (এখন ৫৫)। এটাই মূলত আয়ের উৎস আপনাদের। এই অর্থ দিয়ে পরিবার চালানো ও মায়ের চিকিৎসা খরচ মেটানো তো খুবই কঠিন।
ঋতুর্পণা : হ্যাঁ, এটা অপর্যাপ্ত। আমাদের আরেকটু আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন। আমাদের অনেকেই স্বচ্ছল পরিবার থেকে আসেনি। ফলে আমাদের চাহিদা ও সীমাবদ্ধতার জায়গা বেশি।

টানা দুই বার সাফ চ্যাম্পিয়ন, এখন এশিয়ান কাপের মঞ্চে; এরপরও আপনাদের আর্থিক পূর্ণ স্বাবলম্বীতা নেই। ক্রীড়াঙ্গনে অনেক ক্রীড়াবিদই আপনাদের চেয়ে অনেক কম সাফল্য পেয়ে অনেক অর্থকড়ির মালিক। সরকার কিংবা মন্ত্রণালয় অথবা ফেডারেশনের কাছে আপনাদের কোনো চাওয়া আছে কি?
ঋতুপর্ণা : ব্যক্তিগতভাবে আমার কিছু চাওয়া নেই এবং চাইবও না। আমি বা আমরা যদি সাফল্য কিংবা অবদানের জন্য প্রাপ্য হই তাহলে তারা দেবে, আর না হলে নেই। ২০২২ সাল থেকে আমার জমির বিষয়টি এখনো আশ্বাসেই রয়েছে।
অনেক অল্প বয়সে আপনার জাতীয় দলে অভিষেক। এখন আপনি দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সিনিয়র ফুটবলার হলেও বয়স মাত্র ২১। সামনে অনেক পথ বাকি। আপনি ক্যারিয়ার কোথায় শেষ করতে চান?
ঋতুর্পণা : আগে লক্ষ্য ছিল এশিয়া কাপে খেলা। সেটা এখন পূরণ হয়েছে। ফলে এখন নতুন লক্ষ্য বিশ্বকাপে খেলে ক্যারিয়ার শেষ করা।
বিশ্বকাপে খেলা বাস্তবিকভাবে কতটুকু সম্ভব এবং কী করা প্রয়োজন?
ঋতুপর্ণা : কঠিন অবশ্যই, কিন্তু অসম্ভব নয়। এশিয়া কাপ খেলবে ১২ দল। সেখান থেকে আটটি দলের বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ রয়েছে। ১২ দলের মধ্যে ৮ হওয়ার সামর্থ্য আমাদের রয়েছে এবং চেষ্টা করলেই অবশ্যই সম্ভব। এজন্য সামনের কয়েক মাস বড় দলগুলোর সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা, নিবিড় অনুশীলন ও সুযোগ সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি এশিয়া কাপে আমরা খেলছি, একদিন বিশ্বকাপেও খেলব।
আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের শিক্ষার্থী। ফুটবলের দর্শনের সঙ্গে একাডেমিক দর্শনের মেলবন্ধন ঘটাতে পারছেন কি?
ঋতুপর্ণা : সব সময় খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। সত্যি বলতে আমি ক্লাস করার সেই রকম সময় পাই না। ক্লাস না করতে পারলেও খেলা ও অনুশীলনের ফাকে পড়াশোনা করার চেষ্টা করি। বন্ধুরা ও শিক্ষকরা আমাকে অনেক সহায়তা করে। খেলাধূলার পাশাপাশি পড়াশোনাটাও প্রয়োজন পূর্ণাঙ্গ ক্রীড়াবিদ হওয়ার ক্ষেত্রে। কষ্ট হলেও আমি পড়াশোনাও চালিয়ে যাব।
এজেড/এইচজেএস/এফআই
