নারী হ্যান্ডবলে বাড়ছে খেলা

জাতীয় নারী হ্যান্ডবলে বিগত আসরগুলোতে ৩-৪ ম্যাচ খেলেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পেত। ফেডারেশনের নতুন কমিটি সেই ধারা পরিবর্তন এনেছে। এবার প্রতি দলকে অন্তত গ্রুপ পর্বেই চারটি ম্যাচ খেলতে হবে।
জাতীয় নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা শনিবার শুরু হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় সার্ভিসেস সংস্থা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ১৯টি দল অংশ নিচ্ছে। খেলা ২টি পর্বে হবে। প্রথম পর্বের ১০টি দল ২টি গ্রুপে অংশ নেবে। দলগুলো হলো,বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, ফরিদপুর, বরগুনা, শেরপুর, কক্সবাজার জেলা, বাংলাদেশ পুলিশ, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও দিনাজপুর জেলা।
দ্বিতীয় পর্বে ৯টি দল ২টি গ্রুপে খেলবে। ২০ আগস্ট দ্বিতীয় পর্বের খেলা শুরু হবে। এই পর্বের দলগুলো হলো-জামালপুর, নওগাঁ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চগড়, নড়াইল, যশোর, ঢাকা, বগুড়া ও গোপালগঞ্জ জেলা। দুই পর্বের চার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন সেমি ফাইনাল খেলবে। ২৫ আগষ্ট ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বিকেলে শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন হয়। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'এবার আমরা জেলাগুলোতে ট্রেনিং দিয়েছি কোচ দিয়ে। প্রশিক্ষিত খেলোয়াড়রা প্রতিযোগিতায় আসবে। এবার দলগুলো বেশি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি প্রতি ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও দেয়া হবে। যা আগে কখনো হয়নি।'
৩৬ তম আসরে মাত্র ১৯ দল। এত পুরনো প্রতিযোগিতা কিন্তু কম দল কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'এখনো অনেক জেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠিত হয়নি। অনেক জেলা ক্রীড়া সংস্থা আগ্রহী হয়নি খেলতে। যারা আগ্রহী এবং আমরা প্রশিক্ষণ দিতে পেরেছি তাদেরই নিয়েছি।'
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দল ২৫ হাজার, রানার্সআপ ১৫ হাজার, ৩য় ১০হাজার টাকা প্রাইজমানি পাবে। এ ছাড়া শীর্ষে থাকা ৮ দলকে ১০ হাজার টাকা করে উৎসাহ ভাতা, সেরা খেলোয়াড়কে পাঁচ হাজার টাকা এবং সেরা দুই রেফারিকে দুই হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এ ছাড়াও প্রত্যেক দলের ১৪ জন করে খেলোয়াড়কে ম্যাচ প্রতি ১০০ টাকা করে পকেট মানি দেবে আয়োজকরা। রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় পল্টনস্থ শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মাহবুব-উল-আলম। আজ সম্মেলনে হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ড. আবু নছর মোহাম্ম আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মো: সালাউদ্দিন আহম্মেদ, রাশিদা আফজালুন নেসা, ফেডারেশনের সদস্য মো: মকবুল হোসেন এবং স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার মো: শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
এজেড/এইচজেএস