হারের জন্য যাদের কাঠগড়ায় তুললেন জাকের

এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ের পর পুরো ম্যাচে আর লিটন দাসের দল দাঁড়াতেই পারেনি। জাকের আলি অনিক এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ৮৬ রানের জুটিতে ভর করে কোনোমতে ১৩৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। লঙ্কানরা যা ৩২ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়েছে।
ম্যাচ শেষে ব্যাটিং ইউনিটকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জাকের। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করিনি। তারাও ভালো বল করেছে। পাওয়ারপ্লেতে এত উইকেট হারিয়ে ফেললে এমন উইকেটে ভালো করা কঠিন। ১৬০-১৭০ রান এখানে ফাইটিং স্কোর। তবে আমরা সেখানে যেতে পারিনি। এখানেই তফাতটা হয়েছে।’
জাকের আরও বলেন, ‘একটু গরম আর মাঠের এক সাইডে বাতাসের ব্যাপার ছিল। ফলে দুই সাইডেই মারা যায় না। বেশি সিঙ্গেলস খেলতে গেলে একটু টায়ার্ডনেস আসবেই। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি। ওরা অনেক ভালো বোলিং করেছে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করিনি। যত ভালো জুটিই হোক, ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করতে পারিনি।’
ঘরের মাঠের সবশেষ সিরিজ এবং এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। যা নিয়ে কম কথা হয়নি। আগে ব্যাট না করার অভ্যাস দলকে ভুগিয়েছে কি না প্রশ্নে জাকেরের জবাব, ‘আমরা সবসময় এভাবে অনুশীলন করি। আগে নাকি পরে ব্যাটিং আসলে ম্যাটার করে না। আমরা ভালো করতে পারিনি। নতুন বলে পাওয়ারপ্লেতে এত বেশি উইকেট হারিয়ে ফেললে বড় স্কোর করা কঠিন।’
টপঅর্ডারে বাউন্ডারি ও সিঙ্গেল রানের মধ্যে সমন্বয় করতে না পারা নিয়ে এই তরুণ ব্যাটার বলেন, ‘অবশ্যই ওপেনিং ও নম্বর থ্রি অনেক জরুরি। আমাদের দলের জন্য। এগুলো মাথায় আছে। ওদেরকে অবশ্যই এই জিনিসে সতর্ক হতে হবে। পাওয়ারপ্লে মানে এই না যে বলে বলে চার ছয় মারতে হবে। ড্রপ এন্ড রান এগুলোও মাথায় রাখতে হবে। আমি নিশ্চিত ওরা এগুলো নিয়ে ভাববে, পরের ম্যাচে অবশ্যই আরও ভালো কিছু করবে।’
দলগতভাবেই বাংলাদেশ ভালো খেলতে পারেনি। ফলে টপঅর্ডার ব্যাটারদের পাশাপাশি নিজেদের ঘাড়েও কিছুটা দায় নিলেন জাকের, ‘এটা তারাই বলতে পারবে যারা ফেইস করেছে। আমার কাছে মনে হয় প্রপার প্ল্যান, টাইমিংয়ের দিকে যদি আরও মনোযোগ দিতাম তাহলে ভালো হতো। আমি এবং পাটোয়ারী ভালো খেলা মানে এই না আমরা খুব ভালো। আমরা সবাই মিলে বাজে খেলেছি, সবাই মিলে হেরেছি। সবাই মিলেই আমাদের ভালো করতে হবে।’
এসএইচ/এএইচএস