ইসলামিক গেমসে পদকের আশা জোরালো নয়

বাহরাইনে চলমান এশিয়ান যুব গেমসে তিনটি ডিসিপ্লিনে পদকের প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের। সেখানে কেবল কাবাডিই দুটি পদকের আশা পূরণ করেছে। আসন্ন রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে কোনো পদক প্রত্যাশার ঘোষণা দিতে পারেননি কর্মকর্তারা।
আগামী ৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত হবে গেমসের ষষ্ঠ আসর। ২৩টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশ খেলবে ১০টিতে। ক্যারিয়ার সেরা নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে চেষ্টা করবেন লাল সবুজের ৩৬ জন ক্রীড়াবিদ। সঙ্গে কোচ, ম্যানেজার হিসাবে যাচ্ছেন আরও ১৬ জন। শেফ দ্য মিশনসহ সরকারি ও বিওএর রয়েছেন আরও ১০ জন। সব মিলিয়ে ৬২ জনের কন্টিনজেন্ট।
বৃহস্পতিবার (আজ) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ-বাংলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের শেফ দ্য মিশন এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সেলিম ফকির বলেন, ‘আমরা এখনি কিছু বলতে পারছি না। পদক জয়ের আশাও ছাড়ছি না। শেফ দ্য মিশনের মতো পদকের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি ফেডারেশনগুলোর কর্মকর্তারাও।’
উশুর সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসানের কথা, ‘পদক জিতেল বিওএর স্বর্ণ, রুপা ও ব্রোঞ্জের জন্য যথাক্রমে ছয়, চার ও দুই লাখ টাকা ঘোষণা করেছে। আমরা ব্রোঞ্জ পদক জিতলেই ৫০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছি। আশা করি উশুকারা সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।’
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সহসভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমরাও প্রণোদনা দিচ্ছি। স্বর্ণ, রুপা ও ব্রোঞ্জের জন্য যথাক্রমে তিন, দুই ও এক লাখ টাকা ঘোষণা করেছি।’
কারাতের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য পদকের প্রত্যাশা করে বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয় গেমসে আমাদের পদকের ধারাবাহিকতা ছিল। এখানেও ছেলে মেয়েরা আমাদের হতাশ করবে না, আশকরি।’
এবারের গেমসের উদ্বাধনী অনুষ্ঠানে মার্চপাস্টে লাল সবুজের পতাকা থাকবে টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মুহতাসিন আহমেদ ও স্বর্ণজয়ী ভারোত্তলক মাবিয়া আক্তার। গেমস রিয়াদে হওয়ায় ওমরাহ পালনের জন্য ক্রীড়বিদ ও কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বিওএ। তবে শৃঙ্খলার ব্যাপারে বেশ কঠোর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সেলিম ফকির, গেমসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কর্মকাণ্ড যেন না হয়, এজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক ও নির্দেশনা থাকবে।
এজেড/বিআরইউ