নারী ক্রিকেট দলের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত খাবার বিল নেওয়ার অভিযোগ

দিন দুয়েক আগে সাবেক নির্বাচক মনজুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন নারী ক্রিকেট দলের পেসার জাহানারা আলম। এ ঘটনায় পর এবার নারী ক্রিকেট দলের ম্যানেজার ফাইয়াজের বিরুদ্ধে খাবার বিলের অভিযোগ তুলেছেন সাবেক ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ।
নারী দলের বর্তমান অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিসহ আরো কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে গ্রুপিংয়ের অভিযোগ করেছিলেন জাহানারা। যা সবটুকু সত্য বলে জানিয়েছেন নারী দলের সাবেক ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। যদিও বোর্ডের সঙ্গে তার এ নিয়ে বর্তমানে কোনো কথা হয়নি। তবে দল গঠনে সবসময় মনজুরুল এবং জ্যোতির প্রভাবের কথা জানান তিনি।
ঢাকা পোস্টকে রুমানা বলছিলেন, 'বোর্ড থেকে এখনো আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। আসলে দল সবসময়ই ওই সময় মঞ্জু এবং অধিনায়ক ঠিক করতো। তাদের দুজনের হাত ছিল আসলে সবকিছুতে।'
'আমাকে বাদ দিয়ে তখন একটা আনফিট ক্রিকেটারকে শ্রীলঙ্কা পাঠিয়েছিল। যে খেলার উপযুক্ত ছিল না আসলে। আর জাহানারার বিষয়টা আসলে এটা সবাই জানতো না। মঞ্জুর ব্যবহারটা আমরা দেখতে পেতাম। কিন্তু পার্সোনালি কার সাথে কী করছে এটা তো আসলে জানতে পারতাম না।'
এদিকে নারী দলের ম্যানেজার ফাইয়াজের বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে খাবারের অতিরিক্ত বিল আদায়ের। রুমানা এ বিষয়ে বলেন, 'এরকম একটা সত্যতা পাওয়া গেছে। যদিও তার সাথে আমি কাজ কম করেছি। এই রিপোর্টটা অনেকে আমাকে দিয়েছে, যে একজন এরকম কাজ করছে এটা নিয়ে আসলে কথা বলা দরকার।'
নারী দলে কাজ করা এক কোচও বিল বেশি নেওয়ার ব্যাপারটা ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। পরে ফাইয়াজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, 'যে যার ইচ্ছামতো বলছে, আমিও বোর্ডকে জানিয়েছে। বাকি তো অনেক খেলোয়াড় আছে তাদের কাছে শুনবেন। আমি এরকম কিছু করিনি।'
ড্রেসিংরুমে গ্রুপিংয়ের অভিযোগ তুলে রুমানা বলেন, 'বিসিবি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে তো আমি আমার সব কথাই বলবো। সব প্রশ্নের উত্তর দিব সেখানে বলব যে, আমাদের আগে যে কথাগুলো ছিল সেগুলো যদি শুনতো তাহলে আজকে এই দিন দেখতে হতো না। যখন জাহানারা চিঠিটা দিয়েছিল তখন এটা নিয়ে তদন্ত করতে পারতো। তখন প্রত্যাখ্যান না করে, কি হয়েছে এটা দেখতে পারতো।'
এসএইচ/এইচজেএস