দ্বিতীয় সেশনে প্রথম ১১ বলে ২ উইকেট নিলো বাংলাদেশ

প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয় সেশনেও শুরুটা গেছে বাংলাদেশের পক্ষে। লাঞ্চের পর তৃতীয় বলে পল স্টার্লিংকে সাদমান ইসলামের ক্যাচ বানান নাহিদ রানা।
কেড কারমাইকেলের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৯৬ রানের। ৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করেছিল আইরিশরা। ৭৬ বলে ৯ চারে ৬০ রান করে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ হন স্টার্লিং।
পরের ওভারে নতুন ব্যাটার হ্যারি টেক্টরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬ বলে ১ রান করেন তিনি। লাঞ্চ ব্রেকের পর প্রথম ১১ বলে দুটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ, এক রানের ব্যবধানে। ১ উইকেটে ৯৪ রান করা আয়ারল্যান্ড তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে ৯৭ রানে।
তার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি ডাক মারেন। তারপর গল্পটা বাংলাদেশের হতো পারতো। কিন্তু সকালে সেশনের ক্যাচ মিস করে হতাশায় ডুবতে হয়েছে।
সাদমান ও মিরাজের হাত ফসকে দুইবার জীবন পান স্টার্লিং। পঞ্চম ও সপ্তম ওভারে ৮ ও ১০ রান ছিল তখন তার নামের পাশে।
কারমাইকেলের সঙ্গে ২১তম ওভারে আয়ারল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েন স্টার্লিং। এই জুটিতে আইরিশদের আগের সর্বোচ্চ রান ছিল ৭৫। পরের ওভারে হাসান মাহমুদকে চার মেরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি করেন ৬১ বলে।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের হতাশা বাড়িয়েছেন স্টার্লিং ও কারমাইকেল। দুজনে মিলে ৯৪ রান যোগ করে লাঞ্চ ব্রেকে যান। ২৬ ওভার শেষে ৫৮ রানে স্টার্লিং ও কারমাইকেল ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন। বিরতির আগে বালবির্নির পর আর কোনো উইকেট হারায়নি আয়ারল্যান্ড।
এর আগে টস হেরে বোলিংয়ে নেমে ইনিংসের চতুর্থ বলে বালবির্নিকে আউট করে বাংলাদেশের দারুণ শুরু হয়। তারপর ক্যাচ মিসের মহড়া। টানা তিন ওভারে তিনটি ক্যাচ ফসকে যায়।
দলীয় রানের খাতা না খুলতেই আয়ারল্যান্ড তাদের প্রথম উইকেট হারায়। তবে আউটের সময় অদ্ভুত এক দৃশ্য দেখা গেল।
রিভিউ নেন বালবির্নি। কিন্তু আল্ট্রা এজে ব্যাট ও বলের মধ্যে দূরত্ব দৃশ্যমান থাকলেও দেখাচ্ছিল স্পাইক। চোখের দেখা থেকে আম্পায়ার দৃঢ় কণ্ঠে জানান, বল কোনোভাবেই ব্যাটে লাগেনি। ইম্প্যাক্টে আম্পায়ার্স কল হওয়ায় আউট হন বালবির্নি।
এরপর ক্যাচ মিসের মহড়া। টানা তিন ওভারে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত ফসকে যায় বল।
চতুর্থ ওভারে স্টার্লিং ফিরতে পারতেন। নাহিদ রানার বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন আইরিশ ব্যাটার। বলটি ছুঁতে পারলেও ধরে রাখতে পারেননি সাদমান ইসলাম।
একই ব্যর্থতা পরের ওভারেও। হাসান মাহমুদের বল স্কয়ার লেগে পুল করেন ক্যাড কারমাইকেল। বলটি নিচু হয়ে ধরতে চাইলেও পারেননি তাইজুল। বরং ডান হাতের আঙুল কেটে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ষষ্ঠ ওভারে আরেকবার জীবন পান স্টার্লিং। এবার মেহেদী হাসান মিরাজ ক্যাচ মিস করেন। নাহিদ রানার বল গালিতে খেলেছিলেন স্টার্লিং। ডাইভ দিয়েও বল লুফে নিতে ব্যর্থ হন মিরাজ। চোট পেয়ে তাইজুলের পর মাঠ ছাড়েন তিনিও। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দুজনই মাঠে ফেরেন কিছু সময় পর।
এদিন বাংলাদেশের ১০৮তম টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক হয়েছে অফস্পিনার হাসান মুরাদের। তাকে ক্যাপ পরান আরেক অভিজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলাম।