বোলিং স্বর্গে ঝড় তুললেন হেড, ইতিহাস গড়ে সেঞ্চুরি

অ্যাশেজের ইতিহাসে প্রথমবার প্রথম দিনেই ১৯টি উইকেট পড়ার নজির গড়েছে পার্থ টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের চলমান টেস্টে বোলাররা কতটা রাজত্ব করছে, তা প্রথম বাক্যেই অনুমান করা যায়। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৭২ ও ১৬৪ রানে গুটিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। তবে প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে তাদের পুঁজিটা দাঁড়ায় ২০৫ রানের। এমন বোলিং স্বর্গে দাঁড়িয়ে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়লেন ট্রাভিস হেড। ইতিহাস গড়ে তিনি মাত্র ৬৯ বলে সেঞ্চুরি করেছেন।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩২ রানে অলআউট হয়েছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ফলে ইংলিশরা যখন দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করল, স্টিভেন স্মিথদের সামনে দুইশ পেরোনো লক্ষ্য কঠিনই মনে হয়েছিল। কিন্তু সব হিসাব বদলে দিয়েছেন উসমান খাজার জায়গায় ওপেন করতে নামা ট্রাভিস হেড। ব্যাট হাতে তার চিরাচরিত আগ্রাসী রূপই দেখা গেল প্রথম ইনিংসে গতির ঝড় তোলা আর্চার-কার্স-স্টোকসের সামনে।
টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন হেড। ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৭ বলে ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। সাবেক এই তারকা ওপেনারের সেই সেঞ্চুরি অজিদের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে দ্রুততম। এর আগে ১৯২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জ্যাক গ্রেগরি সেঞ্চুরি করেন ৬৭ বলে। এ ছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার ২০১২ সালে টেস্টে তিন অঙ্কের মাইলফলকে পৌঁছান ৬৯ বলে। তার সমান বল খেলে পার্থে টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি করলেন হেড।
— cricket.com.au (@cricketcomau) November 22, 2025
হেড অবশ্য ইতিহাস গড়েছেন ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে। অ্যাশেজে টেস্টের এক ইনিংসে ন্যূনতম চারটি ছক্কা হাঁকানোর নজির নেই আর কোনো ওপেনারের। রোমাঞ্চকর এই লড়াইয়ের ১৪৩ বছরের ইতিহাসে হেড প্রথম এই কীর্তি গড়লেন। চতুর্থ ইনিংসে বোলারদের স্বর্গভূমিতে দাঁড়িয়ে এমন সেঞ্চুরি হয়তো টেস্ট ইতিহাসেও স্মরণীয় এক ইনিংস হয়ে থাকবে। ৩১ বছর বয়সী এই ব্যাটারের আগ্রাসনে ম্যাচের মোমেন্টাম পুরোপুরি বদলে গেছে। জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
ব্রাইডন কার্সের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হেড ওলি পোপকে ক্যাচ দিয়েছেন। এর আগে ৮৩ বলে তিনি ১৬ চার ও ৪ ছক্কায় সাজিয়েছেন ১২৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। অভিষিক্ত ওপেনার জ্যাক ওয়েদারল্ডের সঙ্গে ৭৫ এবং ওয়ান ডাউনে নামা মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গে ১১৭ রানের জুটি গড়ে অজিদের জয় প্রায় নিশ্চিত করে গেলেন হেড। তিনি আউট হওয়ার সময় স্মিথের দল জয় থেকে স্রেফ ১৩ রান দূরে।
এএইচএস