এখনই শিরোপা জয় নিয়ে ভাবছেন না বাংলাদেশ কোচ

চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গতকাল (সোমবার) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে আজিজুল হাকিম তামিমের দল শীর্ষ চারের পথেই ছিল। শ্রীলঙ্কাও টানা দ্বিতীয় জয় পাওয়ায় তাদের সঙ্গে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে যুবা টাইগাররাও। যদিও গ্রুপপর্বের সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কান যুবারা মুখোমুখি হবে।
নেপালকে হারানোর পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ নাভিদ নেওয়াজ। আগের দুই এশিয়া কাপ আসরে জয় পাওয়া বাংলাদেশ এবার হ্যাটট্রিক শিরোপার আশায় দুবাইয়ে গেছে। সে প্রসঙ্গে কোচ বলেন, ‘আমি আসলে এখনও অত দূরের (হ্যাটট্রিক শিরোপা) কথা ভাবছি না। ছেলেরা তো ২ ম্যাচে ভালোই করছে। আমরা ম্যাচ ধরে ধরে চিন্তা করছি। শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। পরের ম্যাচ নিয়মরক্ষার হবে নাকি হবে না। আফগানরা জিতে গেলে নেট রানরেটের ব্যাপার চলে আসবে। ফলে পরের ম্যাচেও মনোযোগী থাকতে হবে।’
নাভিদ নেওয়াজ আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি নিজেদের খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ করার। প্রসেসে বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যাওয়ার। এর সঙ্গে স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে। ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যেতে চাই আমরা।’

দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৯৬ ও ৭০ রান করেছেন বাংলাদেশের ওপেনার জাওয়াদ আবরার। তার প্রশংসা করে প্রধান কোচ বলেন, ‘জাওয়াদ গত কয়েক মাসে ভালো উন্নতি করেছে। এর আগে সে দল থেকে বাদও পড়েছিল। সেখান থেকে উন্নতি করেছে। ফলে সে সময় পেয়েছে নিজের খেলাটাকে নিয়ে ভাবার। সঠিক সময়ে সে ফর্মে ফিরেছে। ৫০ ওভারের ম্যাচ, লম্বা খেলা। অনেক সময় ধরে ব্যাট করতে হয়। জাওয়াদের ভালো স্কিল আছে। যত বেশি সময় মাঠে কাটাবে সে তত আরও ভালো হবে। এশিয়া কাপে দুইটি ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স দেখাল, ব্যাপারটা ভালো।’
পরের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। নিজের দেশ নিয়ে তাই ভালোই জানাশোনা আছে নাভিদের, ‘আমার মনে হয় শ্রীলঙ্কা শক্তিশালী দল, সবসময়ই ছিল। সেখানে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট অনেক ভালো কাঠামোর মধ্যে থাকে। দারুণ শক্তিশালী তারা। এখন আমরা নিজেদেরকে নিয়েই ভাবছি। দল হিসেবে নিজেরা কী করতে পারি, কীভাবে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দিতে পারি তা ভাবছি, এগুলো করতে পারলেই ঠিকভাবে এগোবো আমরা। আশা করি সামনের সময়ের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতে পারব আমরা।’
এসএইচ/এএইচএস