নিষ্প্রভ সাকিব, গুসের সেঞ্চুরিতে ফাইনালে ভাইপার্স

আইএল টি-টোয়েন্টির প্রথম কোয়ালিফায়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটে-বলে নিষ্প্রভ ছিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাতে হেরেছে তার দলও। আন্দ্রেস গুসের সেঞ্চুরিতে এমআই এমিরেটসকে ৪৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ডেজার্ট ভাইপার্স।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান করে ডেজার্ট ভাইপার্স। জবাবে ৭ উইকেটে ১৮৮ রান করে এমিরেটস।
আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ডেজার্ট ভাইপার্স। ব্যাটিংয়ে নেমেই এমিরেটসের বোলারদের তুলোধূনো করতে থাকেন ভাইপার্সের দুই ওপেনার ফখর জামান ও আন্দ্রেস গুস।
অবশ্য বল হাতে সাকিবের ওপর বেশি ভরসা করেননি এমিরেটসের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। মাত্র একটি ওভার করার জন্য সাকিবের হাতে বল তুলে দেন তিনি। কোনো উইকেট না পেয়ে সেই ওভারে ১০ রান খরচ করেন সাকিব। অন্য বোলাররাও বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি। দলের একমাত্র সফল বোলার আল্লামোহাম্মদ গজনফার। ৪ ওভারে ৩৭ রানের খরচায় একটি উইকেট নেন তিনি।
এদিকে ভাইপার্সের ওপেনিং জুটিতে আসে ১৫৭ রান। ফিফটি পূরণের পর ৬৯ রানে থামেন ফখর জামান। অন্যদিকে সেঞ্চুরি পূরণ করেন আরেক ওপেনার আন্দ্রেস গুস। মাত্র ৫৮ বলে সাতটি চার ও নয়টি ছয়ের মাধ্যমে ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এই ইনিংস খেলার মাধ্যমেই রেকর্ড গড়েছেন এই যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটার। আইএল টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড এটি।
এদিকে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন স্যাম কারেন।
২৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ রান করে আউট হন ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮১ আসে রান। ৩২ বলে ৪১ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম। আর টম ব্যান্টন করেন ২৭ বলে ৬৩ রান।
এরপর রোমারিও শেফার্ড ছাড়া ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি কেউই। শেষদিকে মাত্র ২৩ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন শেফার্ড। আর ৯ বলে ১৫ রান করেন দলনেতা কাইরন পোলার্ড। বাকি ব্যাটারদের কেউই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
ডেজার্ট ভাইপার্সের হয়ে উসমান তারেক সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। দুটি উইকেট পেয়েছেন ডেভিড পাইনে। আর একটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ ও খুজাইমা তানভীর।
এমএমএম