বৈঠকের পর বদলেই গেল আফগান বোর্ডের চেয়ারম্যান

আফগানিস্তানে এখন বইছে ক্ষমতার পালাবদলের হাওয়া। তালেবানরা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশের। যার ফলে ভয়ে বাড়ি ও দেশ ছাড়ছেন একের পর এক আফগানি। খেলোয়াড়রাও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এসবের মাঝেও ব্যতিক্রম আফগান ক্রিকেট বোর্ড। নিয়মিত কার্যক্রম চলছে, রোববার নতুন অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যানের নামও ঘোষণা করা হল। আজিজউল্লাহ ফজলিকেই কার্যকরী চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে গতকাল।
এদিন আফগান বোর্ডের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়, ‘সাবেক এবিসি চেয়ারম্যান আজিজউল্লাহ ফজলিকেই আবার কার্যকরী চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হলো। আফগানিস্তান দলের আসন্ন প্রতিযোগিতার সব দায়িত্ব তিনিই পালন করবেন।’ ফজলির কাঁধে অবশ্য এবারই প্রথম দায়িত্ব এসে পড়েনি। এর আগে ২০১৮-র সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত এবিসির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি।
চলমান তালেবান পরিস্থিতির শুরুর দিকে আফগান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভরসার বাণী শুনিয়েছিলেন আফগান ক্রিকেট বোর্ড প্রধান কার্যনির্বাহী হামিদ শিনওয়ারি। তিনি আশা করেছিলেন, তালেবানরা আফগান ক্রিকেটের কোনো ক্ষতি করবে না। কারণ হিসেবে তিনি জানান, তালেবানরা ক্রিকেট ভালবাসে এবং এই খেলাকে সমর্থন করে।
তবে এর কিছুদিন পরেই বোর্ডের সদর দপ্তরে ঢুকে পড়েছিল তালেবানরা। সেই ছবি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল, তাদের সঙ্গে রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। দলটি বসে আছে আফগান বোর্ডের প্রধান আসনে। দেশটির সাবেক ক্রিকেটার আবদুল্লা মাজারিও ছিলেন এই দলে। ফলে শঙ্কা করা হচ্ছিল দেশটার ক্রিকেট বুঝি যাচ্ছে গোল্লায়।
এরপর অবশ্য একটা সভা হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। যার পরই নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। ফারহান ইউসুফজাইকে সরিয়ে চেয়ারম্যানের পদে বসেন ফজলি।
তবে দেশটির ক্রিকেটের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সামনেই পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ রয়েছে রশিদ খানদের। বিমান সেবা বন্ধ আফগানিস্তানের। এ অবস্থায় রশিদরা লঙ্কায় পৌঁছবেন কী করে, তা নিয়েই আছে ধোঁয়াশা। ফলে এক্ষেত্রে গোটা বিষয়টা সামলানো বড় চ্যালেঞ্জ ফজলির সামনে।
এনইউ