দেশি ফুটবলারের গোলে জিতল কিংস

রাউল বেসেরা, রবসনের মতো ফরোয়ার্ড রয়েছে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসে। লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন দেশীয় ফুটবলার মাহবুবুর রহমান সুফিল। সুফিলের দেওয়া একমাত্র গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে কিংস। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে তারা ১-০ গোলে মারুফুল হকের শিষ্যদের হারায়।
এই জয়ে কিংস ছয় ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে এককভাবে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম আবাহনী সমানসংখ্যক ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে।
শুক্রবার ছুটির দিন করোনাকালীন সময়ের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কয়েক শ দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন। যদিও অধিকাংশই কিংসের সমর্থক ছিলেন। শুরু থেকে ম্যাচটি ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। কিংস কাগজে-কলমে চট্টগ্রাম আবাহনীর তুলনায় অনেক শক্তিশালী হলেও মারুফুল হকের দলের বিরুদ্ধে জিততে অনেক বেগ পেতে হয়েছে তাদের।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অবশ্য শুরু থেকেই কিংসকে চাপে রাখার চেষ্টায় ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। পরপর তিনটি কর্ণার আদায় করে নেয় তারা। যদিও সফল হয়নি মারুফুল হকের শিষ্যরা।
৮ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে শুকুর আলীর শট সরাসরি কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর হাতে যায়। ১২ মিনিটে সুযোগ এসেছিল কিংসের। রবসনের ফ্রি কিকে রাউল অস্কার পা ছোঁয়াতে পারলেই হয়তো জালের ঠিকানা খুজে পেতো অস্কার ব্রুজনের দল। ২১ মিনিটে ঝলক দেখাতে চেয়েছিলেন রবসন। কিন্তু কাজে আসেনি।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে রিমন হোসেনের ক্রস থেকে হেড নিয়েছিলেন রাউল। প্রস্তুত ছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক নাঈম। এর পরের মিনিটেই চট্টগ্রাম আবাহনীর মান্নাফ রাব্বির বাড়িয়ে দেওয়া বলে রাকিব হোসাইনের শট চলে যায় গোলবারের পাশ দিয়ে। ৩৮ মিনিটে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় কিংস। জনাথনের ভোলি গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতি থেকে ফিরে প্রথম সুযোগটি পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ৫০ মিনিটে মান্নাফ রাব্বি ভালো শট নিয়েছিলেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান জিকো। ৫৬ মিনিটে ঝটলা থেকে আবারও সুযোগ তৈরি হয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর। ৬২ মিনিটে লিড নেয় কিংস।
জনাথনের কর্ণার থেকে হেডে বল জালে জড়ান মাহবুবুর রহমান সুফিল। বক্সের মধ্যে আনমার্কড ছিলেন সুফিল। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর কিংসের অধিনায়ক তপু বর্মণের হাতে বল লাগলেও তা রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়।
৭২ মিনিটে গোল পরিশোধের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর রাকিব। তিন মিনিট পর রবসনের ক্রস থেকে গোল করার মতো জায়গায় বল পেয়েছিলেন সুফিল। নিশ্চিত গোল হাতছাড়া করেন কিংসকে জেতানো গোলদাতা।
৮০ মিনিটে আবার সুযোগ এসেছিল কিংসের। এবার সুফিলের বাড়িয়ে দেওয়া বলে বল বাইরে পাঠান জনাথন। ৮৪ মিনিটে বক্সের ভেতর ফাউল হয়েছে জানিয়ে পেনাল্টির দাবি করেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু রেফারি তাতে সাড়া দেন নি। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর রেফারিংয়ের প্রতিবাদ জানায় চট্টগ্রাম আবাহনী।
এজেড/এমএইচ/এটি