সুযোগ থাকলে আয়ারল্যান্ড দলে চাইতাম সাকিবকে : বালবার্নির বাবা

ছেলের সাফল্য কে না দেখতে চায়। পৃথিবীর সকল বাবা-মা’ই চান তাদের সন্তান আকাশসম বড় হোক! ক্রিকেট মাঠ কিংবা পেশাগত অন্য সেক্টরেও বিশেষ মুহূর্তে বাবা-মাকে সরাসরি কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। চার বছর পর সাদা পোশাকে খেলতে নামা আইরিশদের জন্য অবশ্যই ম্যাচটি বিশেষই বটে। তেমনই একটি দৃশ্যের দেখা মিলেছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টেস্ট ম্যাচে। আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নির ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে হাজির হয়েছেন তার বাবা-মা।
আজ (৪ এপ্রিল) মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের ওপরের সারিতে বসে ছেলের খেলা দেখছেন তার বাবা অ্যাশলি বালবার্নি এবং মা ক্যান্ডি লাপ্পিন। তারা সূদূর আয়ারল্যান্ড থেকে ছেলেকে সমর্থন যোগাতে এসেছেন।
ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয়েছে বালবার্নির বাবা-মায়ের। বাবা অ্যাশলি বলছেন, ‘ওর (বালবার্নি) খেলা দেখতে আমরা অনেক দেশে গিয়েছি। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, জিম্বাবুয়ে, কানাডা, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস। তবে এবারই প্রথম বাংলাদেশে এসেছি এবং একইভাবে সামনে শ্রীলঙ্কায়ও যাব। বাংলাদেশে এসে খুবই উপভোগ করছি। এখানে অনেক মানুষ। ঢাকার জনসংখ্যা পুরো আয়ারল্যান্ডের চেয়েও বেশি।’
‘ওর (বালবার্নি) খেলা দেখতে আমরা অনেক দেশে গিয়েছি। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, জিম্বাবুয়ে, কানাডা, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস। তবে এবারই প্রথম বাংলাদেশে এসেছি এবং একইভাবে সামনে শ্রীলঙ্কায়ও যাব। বাংলাদেশে এসে খুবই উপভোগ করছি। এখানে অনেক মানুষ। ঢাকার জনসংখ্যা পুরো আয়ারল্যান্ডের চেয়েও বেশি।’
বালবার্নি তার প্রথম সন্তানের জন্য অপেক্ষা করছে উল্লেখ করে অ্যাশলি জানান, ‘আমি আশা করি সে যত দিন সম্ভব ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে চায়। এরপর সে একটা ভালো জীবন খুঁজে পাক। এই মুহূর্তে সে তার প্রথম সন্তানের অপেক্ষায় আছে। যেটা আমাদের জন্য খুবই রোমাঞ্চকর।’
ক্রিকেট খেলা শেষে বালবার্নিকে কোন পেশায় যেতে পারেন, সেই প্রসঙ্গে তার বাবা বলেন, ‘আমার মনে হয় না তার কোচ হওয়ার কোনো আগ্রহ আছে। সে যদি কখনও কোচিংয়ে আসে, আমি খুবই অবাক হব। আমার মনে হয় খেলার ও কোচিংয়ের প্রতি আবেগের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।’
আয়ারল্যান্ড দলের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা প্রসঙ্গে অ্যাশলি বলেন, ‘বিশ্বকাপ দেখতেও আসার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তার আগে আমাদের জিম্বাবুয়েতে বাছাইপর্ব খেলতে হবে। সেটা পার করতে হবে আমাদের অথবা তার আগে ইংল্যান্ড কিংবা বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে হবে। অ্যান্ড্রু বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়েও খেলেছিল।’
আমরা চাইতাম ব্যালবার্নি পড়াশোনায় মনোযোগ দিবে। তবে ব্যালবার্নি আমাদের কথা শুনেছে নিজের স্বপ্নের দিকেই ছুটেছে, এই কারণে আমাদের উচ্ছ্বাসটাও বেশি। বাবা অ্যাশলে বলছিলেন, 'আমরা চাইতাম সে স্কুল শেষ করে কলেজে যাবে। সে সেটা করেছে, ইংল্যান্ডের এমসিসি কলেজে পড়াশোনা করেছে। সে একই সাথে দুইটাই করেছে, বাবার কথাও শুনেছে ক্রিকেটার হওয়ার দিকেও এগিয়েছে। তবে সে সবসময়ই ক্রিকেটার হতে চাইতো।'
বাংলাদেশের কার খেলা দেখতে ভালো লাগে এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাশলির ভাষ্য, ‘আমি তাসকিনকে নিয়ে সত্যিই মুগ্ধ। এছাড়া বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের কথা বলতেই হবে। সুযোগ থাকলে চাইতাম সাকিব আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলুক। তার মতো খেলোয়াড় পেতে ভাগ্য লাগে। সে তিন এমনকি চারটা রোলও প্লে করতে পারে। লিটন দাস অসাধারণ ব্যাটার। এছাড়া তামিমকেও চাইতাম হয়তো।’
এসএইচ/এএইচএস
