জার্মানি স্পেশাল অলিম্পিকসে পদকের লক্ষ্য বাংলাদেশের
স্পেশাল অলিম্পিকস থেকে প্রায় নিয়মিতভাবেই বাংলাদেশ পদক পেয়ে থাকে । আসন্ন বার্লিন গেমস থেকেও পদকের আশা বাংলাদেশের। বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই গেমস।
‘২০১৯ সালে আবুধাবীতে বিশ্ব গেমসে আমরা স্বর্ণপদক জিতেছিলাম। এবারও সেই পদক ধরে রাখতে চাই’, মঙ্গলবার কথাগুলো বলেন স্পেশাল অলিম্পিকে জার্মানিগামী মেয়েদের হ্যান্ডবল দলের কোচ ডালিয়া আক্তার। স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ডা. শামীম মতিন চৌধুরী বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ-বাংলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘গত বারের মতো এবারও আমরা পদকের ঝাঁপি নিয়ে ফিরতে চাই।’
১৯৯৪ সালে দেশে গঠিত এই সংস্থা বিভিন্ন সময়ে মুঠো মুঠো পদক নিয়ে দেশে ফিরেছে। চার বছর আগে আবুধাবীতে অনুষ্ঠিত এই গেমস থেকে ২২টি স্বর্ণ, ১০টি রুপা ও ছয়টি ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ। ১২-২৫ জুন জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত হবে স্পেশাল অলিম্পিকসের বিশ্ব সামার গেমস। যেখানে আটটি ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে বাংলাদেশ। এগুলো হলো- অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বোচী, ফুটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবল পুরুষ ও মহিলা দল।
গত আসরে পুরুষ ফুটবল ও টেবিল টেনিসে বাংলাদেশ পদক জিতলেও এবার আন্তর্জাতিক স্পেশাল অলিম্পিকস কর্তৃপক্ষ এই দুটি ইভেন্ট আমলে নেয়নি। ফারুকুল ইসলামের ব্যাখ্যা, ‘তারা আমাদের সব ইভেন্ট সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েই তাদের পছন্দের ইভেন্টে আমাদের অংশ নিতে বলেছে। আমরা সেভাবেই দল তৈরী করেছি।’
বাংলাদেশের বহরে রয়েছেন ১১৩ জন। যার মধ্যে কোচিং স্টাফই ২৯ জনের। কোচিং স্টাফের আধিক্য সম্পর্কে ডা. শামীম মতিন বলেন, ‘আসলে এরা সবাই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি। তাদের যাবতীয় বিষয় দেখার জন্য লোকের প্রয়োজন। তাই কোচিং স্টাফে লোক বাড়ানো হয়েছে।’ ২০১৫ সালে লস অ্যাঞ্জেলস স্পেশাল অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট থেকে একজন দলছুট হয়েছিল। আট বছর পর পাশ্চাত্য দেশে আবার স্পেশাল অলিম্পিকস। এবার একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবে বাংলাদেশ কর্মকর্তারা, 'ইউনিফাইড গেমসে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর সঙ্গে কয়েকজন স্বাভাবিক মানুষও অংশগ্রহণ করে। আমরা এবার তাদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখব। পাশাপাশি আয়োজকরাও বাড়তি নজরদারি করবে’ বলেন শামীম মতিন চৌধুরী।
স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই ভাগ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি। সেই হিসেবে আমাদের দেশে ৩৬ লাখ। অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর এই তিনমাস আমরা দেশজুড়ে প্রতিভা অন্বেষন করেছি। সেখান থেকে বাছাই করে এই খেলায়াড়দের তিনমাসের অনুশীলন দেওয়া হয়েছে। আশাকরি তারা দেশের জন্য পদক নিয়ে আসবে।’
এজেড/এইচজেএস