সব রুমে আলাদা এসি না লাগিয়েও বাড়ি ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে
সব রুমে আলাদা আলাদা এসি লাগালে খরচ ও বিদ্যুৎ বিল বেশি হবে। তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে একটি সেন্ট্রাল এসি লাগিয়ে নিলে সব রুমে আলাদা করে এসি লাগাতে হবে না। সঙ্গে খরচ ও বিদ্যুৎ বিল কিছুটা হলেও বাঁচবে।
সেন্ট্রাল এসি কীভাবে কাজ করে, কত টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে, সেগুলির ক্যাপাসিটিই বা কীরকম, সেই সব তথ্যও আপনার জেনে রাখা উচিত।
কীভাবে কাজ করে সেন্ট্রাল এসি
একটা গাছ যেমন ভাবে আপনাকে ঠান্ডা বাতাস দিতে পারে, সেন্ট্রাল এসি কিছুটা সেরকমই। বাড়ির ছাদে বা বেসমেন্টে ইনস্টল করা হয় এই ধরনের এয়ার কন্ডিশনার। সেখানে থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ির বিভিন্ন অংশে শীতল ভেন্ট সরবরাহ করা হয়। সেন্ট্রাল হওয়ার ফলে পুরো বাড়ির তাপমাত্রা একই রাখতে পারে এই ধরনের এসি। এরকম এসি বাড়িতে বসালে আপনার বিভিন্ন ঘরের তাপমাত্রা বিভিন্ন রকম হবে না।
সাধারণ এয়ার কন্ডিশনারের তুলনায় সেন্ট্রাল এসির দাম কিছুটা বেশি হয়। এখন ধরুন আপনার বাড়িতে তিনটে বেডরুম আছে। তিনটি ঘরেই যদি আপনি ১.৫ টনের এসি বসাতে যান, সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ১ লাখ টাকার কিছুটা বেশি। কিন্তু পুরো বাড়ি সেন্ট্রাল এসি করতে চাইলে আপনার খরচ হতে পারে ৮০০০০ টাকা থেকে ১০০০০০ টাকা। এর বেশি দামেরও পেতে পারেন। সাধারণ উইন্ডো বা স্প্লিট এসির মতোই সেন্ট্রাল এসির দাম নির্ভর করে তার টন ক্ষমতার উপরে।
সেন্ট্রাল এসি টন ক্ষমতা বা ক্যাপাসিটি
সেন্ট্রাল এসি কমপক্ষে ৫ টনের হয়। আপনার বাড়ির প্রয়োজনীয়তা অনুসারে তা ১০ বা ১৫ টন ক্ষমতারও কিনতে পারেন। তবে, টন ক্ষমতা যত বাড়াবেন, ততই তা ঠান্ডা বেশি করবে এবং দামও বেশি দিতে হবে। বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল এসি বিক্রি করে। তবে আপনি বাড়িতে সেন্ট্রাল এসি বসাতে গেলে একজন ইলেকট্রিশিয়ানের মতামত নিয়ে নিলে ভাল হবে। তিনি আপনাকে একটা অনুমান করে জানাতে পারবেন যে, আপনার বাড়ির জন্য কতটা পাইপ এবং তারের প্রয়োজন হবে। সেই অনুযায়ী আপনি খরচের অংকটাও অনুমান করে নিতে পারবেন।