স্মার্ট সিটির উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী জাপান
স্মার্ট সিটির উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নসহ অনেক ক্ষেত্রে অবদান রাখছি এবং জাপান এখন স্মার্ট সিটি বিকাশে আগ্রহী।
রোববার (৪ জুলাই) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে বৈঠকের সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি এ আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন। আইসিটি বিভাগের সভাকক্ষে দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জাপান ও বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারত্বের বিকাশের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা যেন আরও বিস্তৃত হয় সে বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইতো নওকি।
তিনি বলেন, আইসিটি এখন অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এজেন্সি (জাইকা) প্রযুক্তি নির্ভর মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ২০৪১ সালের জন্য মাস্টার প্ল্যান উন্নত, সমৃদ্ধ করতে পারে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জাপানের সহযোগিতায় স্মার্ট সিটি প্রতিষ্ঠা, ইনফরমেশন শেয়ারিং লক্ষ্যে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, হাইটেক পার্কের অধীন জাপান-বাংলাদেশ আইটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জাপানি টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের মাধ্যমে ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্লান্ট, জাপানি প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, এটুআই পরিচালনায় ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠিত ই-গর্ভরনেন্স আরও টেকসই করা, বাংলাদেশ- জাপান ডিজিটাল সামিট ব্যবস্থা করাসহ বাংলাদেশের আইটি খাতে উন্নয়ন ও বিকাশে যৌথভাবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব জাপানের রাষ্ট্রদূতের কাছে উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ স্মার্ট সিটির বিকাশে কাজ করার আগ্রহের প্রশংসা করে পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের কর্মসূচি `আমার গ্রাম, আমার শহর’ অর্থাৎ গ্রামীণ মানুষের কাছে সব আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে জাপান সহায়তা করতে পারে।
তিনি বলেন, কেবলমাত্র স্মার্ট সিটির বিকাশই নয়, পুরো বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে পরিণত করতে এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অটোমোবাইল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে জাপান সহায়তা দিতে পারে।
পলক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অনুসারে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয়-শিল্প-উদ্ভাবন কেন্দ্র এবং গবেষণা ও উন্নয়ন সুবিধাসমূহ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
৩৯টি হাই-টেক ও আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী নির্মিত এসব হাইটেক পার্কগুলোতে জাপানি আইটি কোম্পানিদের বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আইসিটি সিনিয়র সেক্রেটারি এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণো কুমার ঘোষ এবং জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
একে/এসকেডি