সিঙ্গাপুরের ৫টি দর্শনীয় স্থান
এশিয়ান এবং ইউরোপীয় সংস্কৃতির সংমিশ্রণে তৈরি বিশ্বের অন্যতম সেরা শহর সিঙ্গাপুর । ১৮১৯ সালে এই শহর ব্রিটিশ বাণিজ্য উপনিবেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। দেশ স্বাধীনের পর এটি সিঙ্গাপুর নামে পরিচিত হয়। বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরগুলির মধ্যেও একটি এই শহর।
এশিয়া মহাদেশে কেনাকাটার জন্য সবচেয়ে সুন্দর জায়গা হলো সিঙ্গাপুর । এই শহর শুধুমাত্রও কেনাকাটার জন্য জনপ্রিয় তা নয় বরং এখানে কিছু সুন্দর জায়গা আছে যা আপনিও ঘুরে দেখতে পারেন। নিচে সিঙ্গাপুরের কয়েকটি সুপরিচিত এবং রোমাঞ্চকর পর্যটন স্থানের নাম দেওয়া হলো-
১. অর্চার্ড রোড
অর্চার্ড রোড হলো সিঙ্গাপুরের কেনাকাটার মূল কেন্দ্র যেখানে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও আসে। এই রোডটির নামকরণ করা হয়েছে ফলের বাগানের নামে। অসংখ্য আপমার্কেট রেস্তোরাঁ, কফি চেইন, ক্যাফে, নাইটক্লাব এবং হোটেল দ্বারা ঘেরা রোডটি। সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবনও এখানেই, যা ইস্তানার স্থান হিসেবেও পরিচিত। অর্চার্ডে ক্রিসমাস অনেক বড় করে আয়োজন করা হয় এবং সাজানোর জন্য রেনডিয়ার্স পাম গাছও ব্যবহার করা হয়। জিঞ্জারব্রেড হাউস তৈরি করা হয় যার উপরে নকল তুষার গড়িয়ে পড়তে থাকে।
২. ওয়ার্ল্ড সেন্টোসা রিসোর্ট
সিঙ্গাপুরের ঘোরার আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য জায়গা হলো রিসোর্ট ওয়ার্ল্ড সেন্টোসা। সিঙ্গাপুরের দক্ষিণ উপকূলের কাছের দ্বীপে অবস্থিত এই রিসোর্ট। যেখানে হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্যাসিনো, থিম পার্কসহ সময়োপযোগী সবই রয়েছে। এই জায়গার মূল আকর্ষণগুলো হলো- সমুদ্র ও তার চারপাশে কেন্দ্রীভূত মেরিন লাইফ পার্ক, ডলফিন আইল্যান্ড, একটি ওয়াটার পার্ক এবং অ্যাকোয়ারিয়াম। অন্যান্য আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সাল স্টুডিও সিঙ্গাপুর এবং রাতের বিনোদন। তদের নিজস্ব পোশাক আছে যেটি পরতেই হবে। রিসোর্টটি ক্ষুধার্ত অতিথিদের জন্য ৬০ টিরও বেশি খাবার টেবিলের সরবরাহ করে থাকে।
৩. ক্লার্ক কোয়ে
ক্লার্ক কোয়ে সিঙ্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী জায়গা। সিঙ্গাপুর নদীর মোহনায় অবস্থিত জেটি ১৯ শতকের শেষে শহরের বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটি আরও জাঁকজমক হয় উঠেছে। ট্রেন্ডি রেস্তোরাঁ, অনন্য বুটিক, পুশকার্ট বিক্রেতা ও রয়েছে যা এশিয়ান এবং ইউরোপীয় প্রভাবে মিশ্রিত। একমাত্র রাতের বেলাই ক্লার্ক কোয়ে চকচকে নাইটস্পটে ভরা থাকে।
৪.হোটেল র্যাফেলস
হোটেল র্যাফেলস তার মনোমুগ্ধকর ঔপনিবেশিক শিল্পের জন্য পরিচিত। ১৮৮৭ সালে এই হোটেল তৈরি হয়। তখন থেকেই এখানে পর্যটকরা থাকা শুরু করে। লেখক রুডইয়ার্ড কিপলিং, সমারসেট মাঘাম এবং আর্নেস্ট হেমিংওয়েও তদের মধ্যে অন্যতম। লাক্সারিতে ১৫টি রেস্তোরাঁ এবং বার রয়েছে, যার মধ্যে লং বারও রয়েছে। বিশ্বজুড়ে মূল ভবনের লবি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত তবে হোটেলের যাদুঘরটি ৩য় তলায় লুকায়িত অবস্থায় আছে।
৫. গার্ডেনস বাই দ্য বে
গার্ডেনস বাই দ্য বে সিঙ্গাপুরের পর্যটন আকর্ষণগুলোতে নতুন যোগ দিয়েছে। পর্যটকরা এটি দেখা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চান না। এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে খোলা গার্ডেনস বাই দ্য বে যা মধ্য সিঙ্গাপুরে অবস্থিত। বে সেন্ট্রাল, একটি ওয়াটারফ্রন্ট ওয়াকসহ একটি বাগান যা শেষ পর্যন্ত অন্য দুটি বাগানকে সংযুক্ত করে। বে সাউথ হচ্ছে বৃহত্তম বাগান। ল্যান্ডস্কেপকে প্রাধান্য দিতে ৫০মিটার (১৬০ফুট) পর্যন্ত বৃক্ষের ন্যায় কাঠামো যুক্ত করা হয়েছে।