পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষির উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার মাধ্যমে বর্ধিত খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন ফসলের জলবায়ু সহনশীল নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন, আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির সম্প্রসারণ ও পরিবেশবান্ধব কৃষি উপকরণের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়, ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, এর পাশাপাশি কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ভ্যালু চেইন উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গবেষণায়ও গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে কৃষি পণ্য রপ্তানির বাজার অনুসন্ধান করতে হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানিযোগ্য কৃষি পণ্য উৎপাদনের সময় গ্যাপ নীতমালা অনুসরণ করতে হবে। 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে কৃষি ও কৃষকবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং কৃষির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ আজ দানা শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন আমাদের পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দিকে বিশেষ মনযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাজারদর ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, খাদ্যের সুষম বণ্টনসহ সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা যেমন জরুরি, তেমনি সবার পুষ্টি সচেতনতার বিষয়টিও অত্যাবশ্যকীয়। 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন এর নির্বাহী পরিচালক ডক্টর লরেন্স হাদ্দাদ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি সাসো মার্টিনো, বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউিট এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজির প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস