কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘কৃষিতে অনেক শিক্ষিত তরুণরা আসছে। তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি এবং তাদের সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়ানোর জন্য নানান উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের কৃষি খাত শুধু খাদ্য উৎপাদনের জন্য নয়, আগামীতে সামগ্রিক অর্থনীতিতেও একটি বড় ভূমিকা পালন করবে।’ 

রোববার (২৭ আগস্ট) শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে আয়োজিত এগ্রিকালচারাল ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  

এগ্রিকালচারাল ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের আয়োজন করে এফএও, ইফাদ, গেইন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। আমরা সাধারণ মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমাদের দেশের গতানুগতিক কৃষকে আমরা আধুনিক কৃষিতে রূপান্তর করব। সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’ 

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষিকে আমরা বাণিজ্যিকীকরণ করব। আমরা গার্মেন্টস শিল্পের উপর নির্ভরশীল। এর সঙ্গে আমরা আরও অনেক কিছু যুক্ত করতে চাই, আর সেখানে কৃষি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যে কারণে বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে কৃষি ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখবে। এ খাতকে এগিয়ে নিতে আমরা সরকারি, বেসরকারি সবাই মিলে একত্রে কাজ করে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাব। আমরা যদি সম্মিলিতভাবে কাজ করি, বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং সেই অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করি তাহলে অবশ্যই আমরা এ খাতকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে নিয়ে যেতে পারবো। সেক্ষেত্রে কৃষির বহুমুখী ব্যবহারকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য আমরা যদি কৃষিকে উপযোগী করে তুলতে পারি তাহলে আগামী দিনের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এই কৃষিখাত।’ 

ফোরাম থেকে কৃষি বিষয়ক যেসব সুপারিশ, পরামর্শ আসবে সেগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালায়ের কর্মকর্তাসহ দেশি-বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এমএসএ