কোরবানির গবাদি পশু পালনকারী, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের করণীয় সম্পর্কে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিশেষ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব পরামর্শ জানিয়েছে খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

গণবিজ্ঞপ্তিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পশুকে পরিষ্কার ও শুকনো এবং আলো-বাতাসপূর্ণ জায়গায় রাখতে হবে। নিরাপদ পানি ও খাবার দেওয়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ উপায়ে পশু পালন করতে হবে।

রোগাক্রান্ত পশু বিক্রয় থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েড হরমোন অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহার ও বিক্রয় অপরাধ। এসব থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রাণী চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হলে তা প্রত্যাহারকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত পশু বিক্রয় থেকে বিরত থাকতে হবে। 

পশু বিক্রেতার করণীয় হিসেবে খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে পশু বিক্রয় করতে হবে। পরিবহনের সময় পশুর সাথে মানবিক আচরণ করতে হবে। বিক্রয়ের জন্য পশু সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাটবাজারে অসুস্থ হলে নিকটস্থ প্রাণী চিকিৎসকের সহায়তা নিতে হবে।

ক্রেতার বিষয়ে করণীয় নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে, কোরবানির জন্য সুস্থ-সবল পশু ক্রয় করতে হবে। সুস্থ-সবল পশু বাহ্যিকভাবে চেনার উপায় হচ্ছে সতেজ স্বাভাবিক ভঙ্গিতে নাকের নিচের অংশে ভেজা ভাব ও উজ্জ্বল চেহারা থাকবে।

অসুস্থ পশু চেনার উপায় : অসুস্থ পশু ক্রয় থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে অসুস্থ পশুর আচরণ ও বাহ্যিক লক্ষণসমূহের তথ্য প্রকাশ করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়েছে, উপরের দিকে হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকা ভাঙাস্বরে বেশি বেশি ডাকাডাকি করা, অতিরিক্ত পরিমাণে লাফানো, খেতে পানি খেতে অনীহা বা ভয় পাওয়া, অতিরিক্ত হাড্ডিসার পশু, পশুর চামড়া উষ্কখুষ্ক ও চর্ম রোগের উপস্থিতি, মুখ থেকে অনবরত লালা ঝরা, মুখে ও পায়ে ক্ষত, তীব্র ডায়রিয়া ও রক্তযুক্ত মল, পায়ুপথে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, নাকে সর্দিভাব ও রক্তমিশ্রিত ঘা, ঘন ঘন শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া অসুস্থ পশুর লক্ষ্মণ। 

অসুস্থ পশুর অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে আছে- মুখমণ্ডল ও শরীরের কোনো অংশের অস্বাভাবিক ফোলা- যেখানে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে ওই স্থানের মাংস দেবে যায় এবং আগের অবস্থায় ফিরে আসতে অনেক সময় লাগে, পশুর কানের গোড়ায় হাত দিয়ে স্পর্শ করলে জ্বরের মতো অস্বাভাবিক গরম অনুভূত হওয়া। 

কোরবানির জন্য প্রাপ্তবয়স্ক পশু ক্রয় করার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, কমপক্ষে দুই বছর বয়সের গরু ও এক বছর বয়সের ছাগল, ভেড়া কিনে কোরবানি করুন। গর্ভবতী গাভী বা ছাগল কেনা থেকে বিরত থাকুন।

সবশেষে পরামর্শ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে নিকটস্থ প্রাণিচিকিৎসকের সহায়তা নিতে পারেন। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। 

একে/এইচকে