চলছে বর্ষাকাল। এ সময়ে মাছ চাষিদের বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ নিতে হয়। সময় মতো এসব পদক্ষেপে বড় ধরনের ক্ষতি থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়া কিছু কৌশল নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয় মাছ চাষিদের।

মৎস্য অধিদফতরের উপপরিচালক (মৎস্য চাষ) আজিজুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ সময়ে বাড়তি কিছু কাজ করতে হবে মাছ চাষিদের। একাধিক বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। বন্যা, অতি বৃষ্টিসহ নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয় চাষিদের। তাই নিতে হবে সময় মতো সঠিক পদ্ধতিটি।

তিনি বলেন, বন্যার পানি যেন পুকুরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক সময় বৃষ্টি বেশি হলে পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে। নিয়মিত পরীক্ষা ও খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া মা মাছ মজুদ করার এখন উৎকৃষ্ট সময়। তাই চাষিরা সঠিকভাবে কাজটি করতে পারেন।

এ মৎস্য কর্মকর্তা জানান, পুকুরে অবশ্যই নিয়মিত খাদ্য দিতে হবে। কেননা এটা মাছ বড় হওয়ার উৎকৃষ্ট সময়। তাই মাছ যেন খাবারের অভাবে না থাকে। প্রয়োজনে পানি পরীক্ষা করে মাছের খাদ্যের উপস্থিতি পরীক্ষা করতে হবে। সাধারণত এ সময়ে রোগ বালাই একটু কম হয়। তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে পুকুর।

পরামর্শ হিসেবে এ মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, বর্ষা মৌসুমে পুকুরের পাড় উঁচু করে দিতে হবে। বন্যার সময় পুকুরে মাছ আটকানোর জন্য জাল, বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘের দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আষাঢ় মাসে মাছের পোনা ছাড়ার উপযুক্ত সময়।

এছাড়া মাছ চাষের জন্য মিশ্র পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। বড় পুকুরে, হাওরে, বিলে, নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করতে পারেন। সর্বোপরি মাছ চাষের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

একে/ওএফ