আলু রফতানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ সময়ে তিনি আলুর বহুমুখী ব্যবহার করে আর কী কী পণ্য তৈরি করা যায় তা খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আশ্বাস দেন। রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে বছরে এক কোটি টনেরও বেশি আলু উৎপাদিত হয়। অথচ বিদেশ থেকে চড়া দামে আলুর চিপস, প্রিঙ্গলস আমদানি করতে হয়। দেশে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভ্যালু অ্যাডে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানসম্পন্ন চিপস, প্রিঙ্গলস ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করতে হবে। এছাড়াও আলুর বহুমুখী ব্যবহার করে আর কী কী পণ্য বানানো যায়- তা খুঁজে বের করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ভাল জাতের আলুর অভাবে এতদিন আলু রফতানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বড় বাধা ছিল। ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে। এছাড়া, আলুর জাত অবমুক্তিতে আগে নিবন্ধন লাগত, সেটিকে আমরা উন্মুক্ত (নন-নোটিফাইড) করে দিয়েছি।

তিনি জানান, ফলে প্রাইভেট সেক্টরও কিছু উন্নত জাত নিয়ে এসেছে। মাঠে জাতগুলোর সক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা, গুণাগুণ, ড্রাইমেটারের উপস্থিতি বেশি প্রভৃতি ভাল ফলাফল পাওয়া গেছে। জাত নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না।

প্রাইভেট সেক্টরকে জিএপি বাস্তবায়ন করে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে আলু উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী। 

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থাপ্রধান, ফুড প্রোডাক্টস প্রস্তুতকারী ও প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং আলু ও শাকসবজি রফতানিকারক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

মতবিনিময় সভায় জানান হয়, দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ কোটি ৬ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। রফতানি হয়েছে মাত্র ৫৫ হাজার টন, যার মূল্য প্রায় ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

একে/ওএফ