এবছরের মধ্যেই ফ্লাই ঢাকা এবং এয়ার অ্যাস্ট্রা নামে আরও দুটি বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পাইলট-ক্রু নিয়োগসহ গ্রাউন্ড ওয়ার্ক শুরু করেছে তারা। ২০২১ সালে এয়ারলাইন্স হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বেবিচকের অনাপত্তি সনদ (এনওসি) নিয়েছে তারা। তবে ঢাকার বিমানবন্দরে প্লেন রাখার বা বেজ স্থাপনের জায়গা না থাকায় এখনই অপারেশনে আসতে পারছে না এয়ারলাইন্স দুটি।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পক্ষ থেকে সম্প্রতি এ দুই এয়ারলাইন্সকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় পার্কিং সংকটের কারণে তাদের ঢাকা বাদে দেশের অন্য কোনো বিমানবন্দরে বেজ স্থাপনের কথা জানানো হয়েছে।

বেবিচকের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বেবিচকের পক্ষ থেকে এ দুই এয়ারলাইন্সকে এনওসি দেওয়া হলেও তাদের জানানো হয়েছে, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। অ্যাপ্রোনে উড়োজাহাজ পার্কিংয়ে স্থান সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। আপাতত বেজের জায়গা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে কার্যক্রমে আসতে চাইলে নতুন এয়ারলাইন্সগুলোকে দেশের অন্য কোনো বিমানবন্দরের পার্কিং ব্যবহার করতে হবে।

বর্তমানে ঢাকা ছাড়া বাংলাদেশের দুটি এয়ারপোর্ট বেজ স্থাপনের জন্য প্রস্তুত আছে। সেগুলো হচ্ছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

বেবিচক জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের সুবিধার জন্য নতুন হাইস্পিড কানেকটিং ট্যাক্সিওয়ে বানানো হচ্ছে, যার নির্মাণকাজ রাতে চলছে। এ কারণে বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে রাতে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকছে। যার প্রভাবে দিনে ফ্লাইটের অসম্ভব চাপ তৈরি হয়েছে। তাই আপাতত এ দুই এয়ারলাইন্সকে বেজ করতে দেওয়া যাবে না।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান বলেন, তারা চাইলে দেশের অন্য কোনো বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। আগামী বছর অ্যাপ্রোনের কাজ শেষ হলে তাদের ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

চলতি বছরের মার্চ থেকে এয়ার অ্যাস্ট্রার ও জুন-জুলাই মাসে কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা ছিল ফ্লাই ঢাকার। এজন্য গত বছরই এয়ারলাইন্স হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বেবিচকের অনাপত্তি সনদ (এনওসি) পায় প্রতিষ্ঠান দুটি। 

এআর/এসএসএইচ