সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বিমানের আসন খালি কিন্তু টিকেট নেই’ এ ধরনের প্রচারণা দেখা যাওয়ায় বিষয়টির ব্যাখ্যা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এই ব্যাখ্যা দেয় বিমান।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-পিআর) তাহেরা খন্দকার জানান, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বিমানের আসন খালি কিন্তু টিকেট নেই’— এ ধরনের প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। বিমানের সিট খালি থাকা সংক্রান্ত বিভ্রান্তি নিরসনে বিমান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তুলে ধরা হলো।

বার্তায় বলা হয়েছে, ‘চলমান করোনা মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) হতে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব এয়ারলাইন্সের মতো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকেও বাধ্যতামূলকভাবে বেশ কিছু আসন খালি রাখতে হয়। বেবিচকের গত ৮ মার্চ, ২০২২ তারিখের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সংকীর্ণ পরিসরের ড্যাশ ৮-৪০০ এবং বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজগুলোর পিছনের সারির আসনগুলো খালি রাখা হয়। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারগুলোর আসন সংখ্যার ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৪টি, বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের ১৫টি আসন এবং বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজের ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৪২টি আসন খালি রাখতে হয়।’

ব্যাখ্যায় বিমান আরো জানায়, ‘‘ফ্লাইট ছাড়ার আগে যাত্রীদের সময়মতো উপস্থিত হতে না পারা, ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত হতে না পারা, কোভিড পজিটিভ হওয়ার কারণে ‘নো শো’ হওয়ায় আরো কিছু আসন শূন্য থাকে। ফলে দৃশ্যমানভাবে অনেক আসন খালি থাকে। সেসব খালি আসনের ভিডিও ধারণ করে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে। তা অনেকসময় ভাইরাল হয়। আসন খালি রাখার বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে অনেকে অবগত নয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জনমনে সৃষ্ট এ ধরনের বিভ্রান্তি নিরসনে সকলের সহযোগিতা কামনা করছে।’’

এআর/এইচকে